আপাদমস্তক ঢাকা বোরখা পরা একটা শিশুকন্যা হাতে একটা ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ছুরিটি সে ক্যামেরার দিকে তাক করে কোরানের কোনো একটি আয়াত গানের ভঙ্গিমায় উচ্চারণ করছে । আয়াতের ইংরাজির অনুবাদ অনুযায়ী ওই শিশুটি বলছে, ‘পরম করুণাময়, পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ।’ এরপর সে নিচে ঝুঁকে বসে পড়ে৷ একটা প্লাস্টিকের পুতুল তুলে নেয় । এই পুতুলের গলা ছুরিটা দিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে কাটে । তারপর পুতুলের কাটা মাথাটি নিচে ফেলে দিয়ে সে বলে, ‘আল ফাতিহা….আল্লাহু আকবর।’
ভিডিওটি এক্স-এ শেয়ার করেছেন লিজা রোজেন (@lizarosen0000) নামে এক ইসরায়েলি ব্যবহারকারী । প্রতিক্রিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘ফ্ল্যাশব্যাক : মুসলমান পিতা তার মেয়েকে দিয়ে আল্লাহর (ইসলামের দেবতা) জন্য বলিদান হিসাবে তার পুতুলের শিরশ্ছেদ করাচ্ছে । আচার অনুষ্ঠানের আগে, তিনি খ্রিস্টানদের সতর্ক করেছেন,’আমার তলোয়ার ধারালো করা হয়েছে তোমাদের ধ্বংস করার জন্য। ০ থেকে ৬৬৬ পর্যন্ত, ইসলাম কতটা হিংস্র হয় ?’
ওই ভিডিও সঙ্গে আরো কিছু ভিডিও সংযোগ করেছেন তিনি। এক অন্য একটা ভিডিওতে একজন আপাদমস্তক ঢাকা বোরখা পরা মহিলাকে কিছু একটা বলতে শোনা যাচ্ছে । মহিলার ভাষা বোধগম্য নয় ।তবে লিজা রোজেন লিখেছেন,’ফ্ল্যাশব্যাক: হামাস নেতার স্ত্রী উম্মে ওসামা ফিলিস্তিনি মায়েদের আল্লাহর (ইসলামের দেবতা) জন্য তাদের সন্তানদের আত্মাকে শহীদ হিসেবে উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে কোনও মুসলিম শিশু ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজেকে উড়িয়ে দিতে এবং মারা যেতে রাজি হবে না, যতক্ষণ না তার নিজের মুসলিম মা তাকে বলে যে তাকে অবশ্যই ইহুদিদের হত্যা করতে হবে এবং আল্লাহর জন্য মরতে হবে। তার মতে: “মাকে অবশ্যই তার সন্তানদের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জিহাদ [ইসলামের পবিত্র যুদ্ধ] এবং শাহাদাতের [মানব ত্যাগ] ভালবাসা জাগিয়ে তুলতে হবে।” ইসলাম এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত সম্পর্কে পশ্চিমের মিডিয়া আপনাকে এটি দেখায় না। দয়া করে এটি শেয়ার করুন, মিডিয়াকে “শান্তির ধর্ম” হিসাবে ইসলামের মিথ্যা চিত্র প্রচার করতে দেবেন না।’
আরেকটি পৃথক ভিডিওতে এক মহিলার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওই এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ফ্ল্যাশব্যাক: গাজার ফিলিস্তিনি মা যিনি তার ছেলেকে ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন, তিনি বলেছেন যে তিনি তার আত্মাকে “শহীদ” হিসাবে উৎসর্গ করতে চান (অর্থাৎ আল্লাহর জন্য মানুষের বলি হিসাবে ইহুদিদের হত্যা করার জন্য নিজেকে উড়িয়ে দেওয়া)। আপনি ভিডিওতে দেখতে পাচ্ছেন, তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে আল্লাহ (মুসলিমদের তথাকথিত দেবতা) তার উপাসকদের বাধ্য করেন যে তারা জান্নাতে যেতে চাইলে তাকে মানব বলি প্রদান করতে। তিনি যোগ করেছেন যে ইস্রায়েলের ইহুদি বা খ্রিস্টানদের বিপরীতে যারা শিশুরা মারা গেলে শোক করে এবং কাঁদে, ফিলিস্তিনি মুসলমানরা খুশি হয় যখন তাদের সন্তানরা জিহাদের (ইসলামের পবিত্র যুদ্ধ) অংশ হিসাবে শহীদ হয় কারণ তারা জানে যে আল্লাহ তাদের জান্নাতের একমুখী টিকিট দিয়ে পুরস্কৃত করেন। অনুগ্রহ করে নীচে মন্তব্য করুন: এই মা এবং তার ধর্ম সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন?’
সেই সাথে একজন ইসলামী ধর্মগুরুর বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে । যে ভিডিওটি কিশোর ভিত্তিক চ্যানেল মেমরি টিভিতে প্রচার করা হয় । লিজা রোজেন তার পরিচয় দিয়ে লিখেছেন,’শীর্ষ সৌদি শেখ ব্যাখ্যা করেছেন কোন পরিস্থিতিতে মুসলিম পুরুষদের নারীদের ধর্ষণ করা উচিত আল্লাহর (মুসলিমদের ঈশ্বরের উপাসনা) হিসেবে। শান্তির ধর্ম কি এইরকম?’
যদিও ভিডিওগুলি সত্যতা যাচাই করে নেই এইদিন ।।