এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,১৯ ডিসেম্বর : বোরখা না পরার অপরাধে স্ত্রীকে হত্যাকারী ফারুক, এর আগে তার স্ত্রী তাহিরাকে আধার কার্ড পর্যন্ত নিতে দেয়নি । কারন আধার কার্ডে স্ত্রীর ছবি থাকবে এবং সে চায়নি যে তার স্ত্রীর মুখ কেউ দেখুক । পুলিশ প্রকাশ করেছে যে ফারুক বলেছিল যে সে তার স্ত্রীর এমন কোনও পরিচয়পত্র করাতে চায়নি যাতে ছবির প্রয়োজন হয় ।
স্ত্রী তাহিরা ছাড়াও, ফারুক তাদের ১৪ এবং ৭ বছর বয়সী দুই মেয়েকেও হত্যা করেছে। তাহিরা এবং ফারুকের পাঁচটি সন্তান ছিল। তাদের মধ্যে তিনটি ছেলে ছিল। উত্তরপ্রদেশের শামলিতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। তাহিরা এবং তার দুই মেয়ে বোরখা না পরে তাহিরার বাড়িতে গেছে জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ফারুক ।
এদিকে মেয়ে এবং দুই নাতি-নাতনির সাথে ছয় দিন ধরে দেখা না হওয়ার পর, তাহিরার বাবা দাউদ ফারুকের বাড়িতে এসে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ফারুক তার শ্বশুরের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। বারবার প্রশ্ন করা হলে,সে কেবল বলে যে তাদের অন্য বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় দাউদ পুলিশকে জানান। পুলিশ পরিচালিত তদন্তের সময় হত্যাকাণ্ডটি প্রকাশ পায়।
ফারুক পুলিশকে জানায় যে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি চলছিল । যখন সে জানতে পারেন যে তাহিরা বোরখা ছাড়াই তার বাপের বাড়িতে গেছে, তখন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ফারুক বলেন যে তাহিরা তার এবং তার পরিবারের মর্যাদা নষ্ট করেছে এবং তাদের জন্য লজ্জার কারণ হয়েছে। তারপর সে মধ্যরাতে রান্নাঘরে তাহিরাকে গুলি করে হত্যা করে, এবং যখন তার বড় মেয়ে ঘুম থেকে উঠে শব্দ শুনে রান্নাঘরে আসে, তখন সে তার মেয়েকেও গুলি করে হত্যা করে । ফারুক পুলিশকে জানায় যে ছোট মেয়েটি হট্টগোল শুনে দৌড়ে এলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মৃতদেহগুলো শৌচাগার তৈরির জন্য বাড়ির উঠোনে খনন করা একটি গর্তে প্রায় নয় ফুট গভীরে ফেলে দেয় এবং ইট দিয়ে ঢেকে দেয়।।
