এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,২০ জানুয়ারী : নেহেরু-গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরী রাহুল গান্ধীকে অষ্টম শতাব্দীর বৈদিক পণ্ডিত তথা মহান যোগী আদি শঙ্করাচার্যের সাথে তুলনা করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ । এর আগে কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ রাহুল গান্ধীকে ভগবান রামের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। খুরশিদ বলেছিলেন,’রাহুল গান্ধী অতিমানব। আমরা যখন ঠান্ডায় জমে আছি এবং জ্যাকেট পরছি, তিনি টি-শার্ট পরে বের হচ্ছেন তার ভারত জোড়া যাত্রায় । তিনি একজন যোগীর মতো হয়ে গেছেন, তিনি তাঁর ‘তপস্যা’ মনোযোগ দিয়ে করছেন ।’
এদিন শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের লক্ষনপুরে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন,’রাহুল গান্ধী হলেন শঙ্করাচার্যের পরে প্রথম ব্যক্তি যিনি কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাত্রা করছেন । শতাব্দী আগে শঙ্করাচার্য এখানে এসেছিলেন। তিনি যখন আসেন তখন জঙ্গল ছাড়া রাস্তা ছিল না। তিনি কন্যাকুমারী থেকে হেঁটে কাশ্মীর গিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি একই কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা করেছেন এবং কাশ্মীরে পৌঁছেছেন ।’
এদিকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র ও আদি শঙ্করাচার্যের সাথে তুলনাকে অনেকে হিন্দু ধর্মের এই মহান দুই ব্যক্তিত্বের অপমান বলে মনে করছেন । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীরা কেন বারবার রাহুল গান্ধীকে ‘তপস্বী’ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন ? রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের মতে জাতীয় রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়া কংগ্রেসে নরেন্দ্র মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত কোনো ব্যক্তিত্ব নেই । সেই কারনে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় দাঁড়ি গোঁফ বাড়ানো রাহুল গান্ধীর বাহ্যিক রূপ মোদীর মত তৈরি করিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস । রাহুলকে ‘তপস্বী’ রূপে আসরে নামানোর আসল উদ্দেশ্য হল বিজেপির হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসানো,বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ‘,ভারত জোড়ো যাত্রা’ জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ার লক্ষনপুর এলাকায় প্রবেশ করে । সন্ধ্যায় যাত্রা এগিয়ে যাওয়ার সময় সমর্থকদের হাতে ছিল দলীয় পতাকা ও টর্চ লাইট । ফারুক আবদুল্লাহ, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সভাপতি মেহবুবা মুফতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) সহ সভাপতি ওমর আবদুল্লাহ, শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ সঞ্জয় রাউত বিভিন্ন স্থানে যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন ।সেপ্টেম্বরে কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়া যাত্রা শ্রীনগরে ৩০ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ।।