জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুর,২১ মে : পাট চাষ করে স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কায় দক্ষিণ দিনাজপুরের চাষীরা। জানা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি, হরিরামপুর, গঙ্গারামপুর, তপন, বালুরঘাট বিভিন্ন ব্লকে পাটের জমিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষীদের ঘুম উড়েছে ইতিমধ্যেই। উল্লেখ্য, রাজ্যের পাট উৎপাদনকারী জেলা গুলির মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা অন্যতম। ফলন ভালো হওয়ার কারণে প্রত্যেক বছরই এই জেলায় উৎপন্ন পাটের চাহিদা থাকে রাজ্য জুড়ে। যদিও এবছর মরসুমের প্রথম থেকেই বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অত্যাধিক গরমের কারণে জেলার বিভিন্ন ব্লকে বেশিরভাগ পাটের জমিতে পোকা পোকার আক্রমণ ঘটেছে। স্থানীয় পাট চাষীদের আশঙ্কা এই মত অবস্থায় এবছর পাট চাষ করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বিগত বহু বছর ধরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পাটের ভালো ফলন হয়ে আসছে। সেই কারণে এই বছরও ব্যাপকহারে পাট চাষ করেছিলেন জেলার চাষীরা। যদিও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা জেলার পাট চাষীদের।কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে পাটের ভালো ফলনের জন্য জমিতে সূর্যের তাপের পাশাপাশি উপযুক্ত বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন।
চাষি ও কৃষি আধিকারিকের বক্তব্য শুনুন :
প্রয়োজনের কম বৃষ্টিপাত হলে পাট গাছ শুকিয়ে যায়। পাশাপাশি নানান রকমের পোকামাকড়ের উপদ্রব হতে পারে। যার ফলে পাট গাছ থেকে তন্তু খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায় এবং পাটের গুণগত মান কমে যায়। এবছর মরসুমের প্রথম থেকেই ভালো বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে জমির রস শুকিয়ে গেছে বলে দাবি কৃষকদের। অনেকই বলছেন জমিতে রস না থাকার কারণে পাট গাছের বৃদ্ধি হচ্ছেনা ।
জেলার বুনিয়াদপুর শহরের পাট চাষী অনন্ত মন্ডল বলেন,’মাজরা পোকার আক্রমণে পাটের জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আমার।বৃষ্টি নেই ,এমন আবহাওয়ার কারণে পাট চাষ করে চরম সমস্যায় পড়েছি। প্রশাসন বিষয়টি দেখলে উপকৃত হব।’
কৃষি আধিকারিক এভারেস্ট লেপচা জানিয়েছেন ‘পাটের জমিতে এই সময় পোকার আক্রমণে খুব একটা বড় বিষয় নয়। বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণেই এমন সমস্যা হয়েছে। পাট গাছ বড় হলে এবং আবহাওয়া পরিবর্তন হলে সমস্যা অনেকাংশেই মিটবে।’ এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু জমিতে এখনো পর্যন্ত উপযুক্ত জল সেচের ব্যবস্থা নেই। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টিপাতই ভরসা পাট চাষীদের ।।