প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ জুলাই : জামালপুরে চাষের জমি থেকে উদ্ধার হল এক প্রৌঢ় চাষির মৃতদেহ । মৃতর নাম উমাপদ পাত্র (৬৭) । তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জামালপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অধীন শুড়েকালনা গ্রামের পাত্রপাড়ায় ।বৃহস্পতিবার সকালে শুড়েকালনা এলাকার শ্মশানের কাছের জমিতেই পড়ে থাকে উমাপদ পাত্রর মৃতদেহ । ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রৌঢ় চাষির এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য বিদ্যুৎ দপ্তর ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন মৃতর পরিজন ও এলাকাবাসী । পুলিশ মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
মৃতের নাতি সৌরভ বড়াল জানিয়েছেন, শুড়েকালনার পাত্রপাড়ার অদূরে দামোদরের গা ঘেঁষে রয়েছে তাঁর দাদু উমাপদ পাত্র চাষ জমি । সেই জমির খানিকটা দূরেই রয়েছে শ্মশান ।সেকানকার যে ইলেকট্রিক পোল থেকে শ্মশানে বিদ্যুৎবাহী তার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । সেই পোলটি বেশ কিছুদিন ধরেই শর্ট সার্কিট হয়ে আছে । এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে সেই বিষয়ে এলাকার লোকজন জানিয়ে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি ।
সৌরভ জানান,অনান্য দিনের মতো এদিনও তাঁর দাদু নিজের চাষের জমির কাজে যাচ্ছিলেন । কিন্তু জমিতে জমির জল ওই পোলের সংস্পর্শে আসায় বিদ্যুৎবাহী হয়ে পড়েছিল । আর দাদু ওই জলে পা দিতেই বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন । তারপর ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে সৌরভ বড়াল দাবি করেছেন ।
ঘটনার বিষয়ে জানার জন্যে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামসুন্দর পাত্র কে একাধিকবার ফোন করা হয় । কিন্তু তাঁর ফোন সুইচ অফ থাকায় কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি । তবে শুড়েকালনা নিবাসী জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপ পাল বলেন,’যে খুঁটি থেকে বিদ্যুতের তার শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই শর্ট সার্কিট হয়ে থাকার বিষয়টি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে সদস্য জানিয়েছিলেন । কিন্তু কেন সেটি মেরামত হয়নি তা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎদপ্তর জানাতে পারবে।’
পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দায় এড়ালেও
জামালপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজার বিদ্যুৎ সাহা জানিয়েছেন,“বিদ্যুৎ দপ্তর কে অন্ধকারে রেখে শ্মশানে বিদ্যুৎ লাইন টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়েই মারা গিয়েছেন কিনা তা এখনও পরিস্কার নয় । এই বিষয়ে সবিস্তার খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।’।