শ্যামসুন্দর ঘোষ,মেমারি(পূর্ব বর্ধমান),১১ নভেম্বর : গত অক্টোবর মাসে ‘দানা ঘূর্নিঝড়’-এর তান্ডব দেখেছিল ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষ । দু’তিন দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড় চলে । পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয় । ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় আমন ধানের । পূর্ব বর্ধমান জেলার অনান্য অংশের পাশাপাশি মেমারি-২ ব্লকের সাতগেছিয়া-১ পঞ্চায়েতের আহিরা গ্রামের কৃষকরাও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন । তাদের অভিযোগ যে সরকারিভাবে সরেজমিনে তদন্তে এলেও এখনো পর্যন্ত তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি বা পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন না । তাই অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে সরকারি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার দাবিতে আজ সোমবার(১১ নভেম্বর) সকালে মেমারি-২ বিডিও অফিসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন আহিরা গ্রামের বেশ কিছু চাষি ।
বিক্ষোভকারীরা বিডিও-এর কাছে একটা স্মারকলিপিও দিয়েছেন । তাতে তারা লিখেছেন,’বিগত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে (দানা) আমাদের এডিএ মহাশয়কে আবেদন করার পর তিনি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছিলেন । কিন্তু তারপর ১৪-১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আমরা তার কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাচ্ছি না । তাই আমরা বাধ্য হয়ে আপনার দ্বারস্থ হয়েছি ।’ অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য তারা বিডিও এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন । পাশাপাশি ক্ষিপ্ত চাষিরা মেমারি-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তার করণ(এডিএ) ডঃ রানা ভট্টাচার্যের অফিসে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান । চাষিদের অভিযোগ,’অনান্য ব্লকের চাষিরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে গেছে । আমাদের অন্তত বীমার টাকা ব্যবস্থা করে দিন ।’ যদিও এডিএ-এর কাছ থেকে এনিয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে ।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষি গুরুপ্রসন্ন ঘোষ,ধর্মদাস সরকার, বুদ্ধদেব মণ্ডলরা বলেন,’কৃষিকাজের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ৷ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ‘দানা’ আমাদের কার্যত সর্বসান্ত করে দিয়েছে । আমরা এডিএ সাহেবকে জানিয়েছিলাম । তিনি দূর থেকে জমি দেখেই চলে গিয়েছিলেন,কাছে গিয়ে দেখেননি । এডিএ সাহেব দাবি করেন যে ২০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে । ওনার নির্দেশ ক্রমে আমরা ধানের আঁটি বেঁধে ধান খামারে এনেছিলাম । তাতে আমাদের আরও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে । খরচ পর্যন্ত ওঠেনি । আমাদের মিলে আশেপাশের দুটো মৌজার জমিতে চাষিদের অবস্থা খুবই খারাপ ।’ চাষিদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মেমারি-২ বিডিও ।।