এইদিন বিনোদন ডেস্ক,১১ ডিসেম্বর : বিখ্যাত তেলেগু অভিনেতা মোহন বাবু তার ছেলে মঞ্জু মনোজ এবং তার স্ত্রী মৌনিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং তারকা পরিবারে বিতর্ক চলচ্চিত্র জগতে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । মোহন বাবুর অভিযোগ ছিল, তাঁর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং তাঁর ছেলে মনোজ ও পুত্রবধূ জোর করে তাঁর বাড়ি দখল করে রেখেছেন। এদিকে দুজনের সম্পত্তি বিরোধের ব্যাখ্যা দিতে ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলপল্লীর বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনেই মোহন বাবু ও তাঁর ছেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসা সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়। খবরের চ্যানেলের একজন সাংবাদিক বুম (মাইক্রোফোন) এগিয়ে ধরে মোহনকে তার অপছন্দের একটি প্রশ্ন করেন৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকের বুম ছিনিয়ে নিয়ে তাকে বেদম পিটিয়ে দেয় অভিনেতা । সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরা ভিডিওগুলিতে মোহনবাবুর বুম ছিনিয়ে নেওয়া একজন সাংবাদিকের মাথায় আঘাত করার দৃশ্য ধরা পড়েছে। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা গণমাধ্যমকর্মীদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
মুখে ঘুষির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রঞ্জিত কুমার নামে ওই সাংবাদিক । সাংবাদিকের অভিযোগে অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে রাচাকোন্ডা থানার পুলিশ । তার অভিযোগ যে নিজের কাজ করার সময় অভিনেতা মোহন বাবু আমাদের উপর হামলা করছিলেন। আহত সাংবাদিকের অভিযোগে বলা হয়, অভিনেতা বিনা উসকানিতে জোর করে মাইক কেড়ে নেয়, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে হামলা চালায় । ঘটনার পর সাংবাদিকরা মোহন বাবুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ ও স্লোগান দেন। দিল্লি তেলেগু জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ডিটিজেএ) ঘটনার নিন্দা করেছে।
উল্লেখ্য,তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণকারী মঞ্জু পরিবারের সম্পত্তি বিরোধের কারণে মোহন বাবু তার ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ছেলেও বাবার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছে। মোহন বাবু অভিযোগ করছেন, তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি রয়েছে এবং তার বাড়িটি তার ছেলে মনোজ কুমার মাঞ্চু ও পুত্রবধূ মনিকা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। পাল্টা অভিযোগে, মনোজ অভিযোগ করেছেন যে রাতে দশজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং তাদের মারধরের কারণে তিনি আহত হন। এদিকে ছেলের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হওয়ার নোটিশ দেওয়ার পর বুকে ব্যথার কারণ দেখিয়ে আজ বুধবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন মোহন বাবু।।