এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,২৯ আগস্ট : গলায় ঝোলানো একটা লেডিজ ব্যাগ । সাত তলা আবাসনের ছাদের রেলিংয়ের উপর বসে আছেন এক মহিলা । তার মুখ আকাশের দিকে । দু’হাত জোড় করে কপালে ঠেকিয়ে তিনি কিছু একটা প্রার্থনা করলেন । মাত্র কয়েক সেকেন্ড,তারপর সামনের দিকে ঝুঁকতেই সব শেষ । মহারাষ্ট্রের উলহাসনগরের সুপরিচিত সমাজকর্মী ও আইনজীবী সরিতা খানচন্দানির এই মর্মান্তিক আত্মহত্যার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল । বৃহস্পতিবার বিকেলের এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশের মতে, দুপুর ১টায় সরিতা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ডোম্বিভলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসার সময় তার মৃত্যু হয়।
আত্মহত্যার সঠিক কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে যে বুধবার সরিতা তার এক ভাড়াটে ব্যক্তির সাথে ঝগড়া করেছিলেন। ভাড়াটে তার বিরুদ্ধে হামলার মামলাও দায়ের করেছিলেন। জানা যাচ্ছে যে এই ঘটনায় সরিতা মানসিক চাপে ছিলেন।
সরিতা খানচন্দানি হিরালি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা পরিচালনা করছিলেন। তিনি উলহাস এবং ওয়ালধুনি নদীকে দূষণমুক্ত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন। পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য তাকে বহুবার বিরোধিতা এবং চাপের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে ডিজে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
বিঠ্ঠলওয়াড়ি পুলিশ সরিতা’র মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের বক্তব্যের পর আরও তদন্ত করা হবে। সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলির জন্য লড়াই করা একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের মৃত্যু সমাজের জন্য একটি বড় ক্ষতি বলে মনে করা হচ্ছে।।

