এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১০ জানুয়ারী : বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার শনিবার মুস্থুলি গ্রামের মোড়ে জনসভায় ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন ।পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মুস্থুলি গ্রামের বাসিন্দা নিতাই মণ্ডল, পাঁচকড়ি মণ্ডল , সনৎ মণ্ডল, উত্তম মণ্ডল ও মথুরা মণ্ডল নামে পাঁচ কৃষকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে এক মুঠো করে শষ্য ভিক্ষা গ্রহন করেন । শেষে ওই পাড়ারই মথুরা মণ্ডল নামে আরও এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন জেপি নাড্ডা, দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়সহ বিজেপির একাধিক শীর্ষস্তরের নেতা । তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ভোল বদল করলেন জেপি নাড্ডাকে মুষ্টি ভিক্ষা দেওয়া ৫ কৃষক । রবিবার সন্ধ্যায় ওই কৃষকের পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করে এলেন । এদিকে এই ঘটনা ঘিরে বিজেপি-তৃনমূলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে ।
ওই ৫ কৃষককে ভয় দেখিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির বর্ধমান পূর্ব(গ্রামীণ) জেলা কমিটির সহ সভাপতি অনিল দত্ত । তিনি বলেন, ” এটাই তৃণমূলের কালচার । আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব আতিথেয়তা গ্রহণের জন্য রাজ্যের যেখানেই গেছেন পরবর্তীকালে সেই পরিবারগুলিকে ভয় দেখিয়ে দলে টানা হয়েছে । তবে তৃণমূল যত চেষ্টাই করুক না কেন ২০২১ সালে মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে ।”
অন্যদিকে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” মুস্থুলি গ্রামের যেসব কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে জেপি নাড্ডা সাহেব ভিক্ষাগ্রহন করতে গিয়েছিলেন ওইসমস্ত পরিবারের সদস্যরা বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন । কেউ ভিক্ষার জন্য গেলে তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না বাংলার যে কোনও পরিবারের মহিলারা । এটাই বাংলার বৈশিষ্ট । তাই তাঁরা সৌজন্যতা দেখিয়ে জেপি নাড্ডাকে ভিক্ষা দিয়েছেন মাত্র।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, যাতে ভুল বার্তা না যায় তাই ওই সমস্ত কৃষক পরিবারের সদস্যক্রা এদিন আমাদের দলীয় কার্যালয়ে এসে আমার সঙ্গে সৌজন্যমূলক দেখা করতে এসেছেন।’
জানা গেছে, এদিন রবিবার সন্ধ্যায় কাটোয়া স্টেশনরোডে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন নিতাই মণ্ডল, মথুরা মণ্ডল, পাঁচকড়ি মণ্ডলের ছেলে মিঠুন মণ্ডল এবং সনৎ মণ্ডলের বাড়ির সদস্য । তাঁরা জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই । তাঁরা তৃণমূলেই আছেন ।।