এইদিন ওয়েবডেস্ক,অযোধ্যা,০২ আগস্ট : রামায়ন ও হনুমান চালিশার প্রশংসা করায় দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করার অভিযোগ উঠল ফয়েজ আম মুসলিম কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সৌরভ যাদব ও মাধবেন্দ্র প্রতাপ সিং নামে ওই দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় উম্মাদ ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে । যদিও বহিষ্কৃত এক ছাত্রের অভিযোগ, তাঁকে কোরান পড়তে বলা হয়েছিল বলেই সে হনুমান চালিশা পড়েছিল । অন্য পড়ুয়ার জানিয়েছে,ঠিক কি কারনে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা তার অজানা । একটি সংবাদ মাধ্যমে এই সম্পর্কীয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ।
জানা গেছে,অযোধ্যার রাউনাহি দেওধী লিঙ্ক রোডে রয়েছে ফয়েজ আম মুসলিম ইন্টার কলেজটি । বহিষ্কৃত সৌরভ যাদব জানিয়েছে,সে এক মুসলিম ছাত্রের পাশে বসে রহিম দাসের দোহা পড়ছিল । তখন মুসলিম ছাত্রটি আপত্তি জানায় । তাকে সে দোহার পরিবর্তে কোরান পড়তে বলে । তার সামনে কুরান ও আকবরের প্রশংসা করতে শুরু করে ওই মুসলিম ছাত্র । তাই সেও রামায়ণ ও হনুমান চালিসার প্রশংসা করতে শুরু করে । বিষয়টি মুসলিম ছাত্রদের পছন্দ না হওয়ায় তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানায় । কিন্তু তার কাছ থেকে কোনো কথা না শুনেই তার নাম স্কুল থেকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সৌরভ যাদবের । অন্য ছাত্র মাধবেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের কথায়, ‘আমি ক্লাসে বিজ্ঞানের হোমওয়ার্ক করছিলাম । সেখানে কী হলো,কীভাবে হলো, কীভাবে আমার নাম কাটা হলো, আমি কিছুই জানি না ।’
এদিকে এই ঘটনার কথা চাওড় হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় । বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) প্রাদেশিক মিডিয়া ইনচার্জ শরদ শর্মা এই ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ ও ম্যানেজারকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন । পাশাপাশি তিনি ডিএম নীতীশ কুমারকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্যও দাবি করেছেন ।
অন্যদিকে ফয়েজ আম মুসলিম কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মোহাম্মদ আখতার সিদ্দিকী বহিষ্কৃত দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ তুলেছেন । তাঁর দাবি কলেজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।।