এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৭ জুলাই : বোমা বাঁধার আচমকাই ঘটে যায় বিস্ফোরণ । যার জেরে গুরুতর জখম হল এক দুষ্কৃতি । মঙ্গলবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার আমগড়িয়া ও আন্না গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর । বছর আঠাশের ওই দুষ্কৃতির নাম অষ্টম হাজরা । আন্না গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি । ঘটনার পর গ্রামের এক চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পরে শ্বশুরবাড়িতেই ছিল এই যুবক । খবর পেয়ে বুধবার ভোরে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে । ওই যুবকের হাতের কব্জির নিচের একাংশ উড়ে গেছে বলে জানা গেছে । বর্তমানে পুলিশের নজরদারির মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে যুবকের । কাবেন্দু বিশ্বাস নামে ওই গ্রামীণ চিকিৎসককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ।
জানা গেছে, অষ্টম হাজরার বাড়ি বীরভূম জেলার লাভপুর থানার থিবাগ্রামে । আমগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জনৈক নানু হাজরার মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে । এদিন ভোরে অষ্টমকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে যায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । রাতে বোমা বাঁধা শিকতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে বলে ওই যুবক স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
আগরডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মিঠুন মিঞা বলেন, ‘মঙ্গলবার কেতুগ্রামের শ্রীপুর গ্রামে এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা । তাঁরা এলাকা ঘুরে যাওয়ার পরেই ওই দিন রাতে আমগড়িয়া ও আন্না গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় ফাঁকা মাঠে বোমা বাঁধছিল বিজেপির লোকজন । ওই দলে ছিল সক্রিয় বিজেপি কর্মী অষ্টম হাজরা ।’ তাঁর অভিযোগ,’জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের লোকজন এলাকা ঘুরে যাওয়ার পরেই অক্সিজেন পেয়ে গেছে বিজেপি । তাই এলাকায় অশান্তি পাকানোর উদ্দেশ্যে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল । কিন্তু একটা বোমায় বিস্ফোরণ হয়ে যাওয়ায় ওদের সব পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায় ।’
অন্যদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির পূর্ব বর্ধমানের সাংগঠনিক কাটোয়া জেলারসহ সভাপতি অনিল দত্ত । তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল অকারন রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে ।’।