এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৬ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনার মাষ্টারমাইণ্ড তুফান চৌধুরী, লিঙ্কম্যান জামির শেখসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ জামিরের বাড়ি কেতুগ্রামের কাচরা গ্রামে । তুফান রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দা । বাকি ধৃতরা হল রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের ওরফে হাঁসু, অনুপ কায়িম শেখ ওরফে পিনু, নজরুল মোল্লা এবং জোমেইদ শেখ । তুফানকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ । বাকিদের শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হয় । বিস্ফোরণে মারা যাওয়া দুষ্কৃতী বরকত কারিগর (৩৬) বীরভূম জেলার নানুর থানার সিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা । বোমা বাঁধার জন্য তুফান চৌধুরীর সঙ্গে বরকতের যোগাযোগ করে দিয়েছিল জামির শেখ । আজ রবিবার ধৃত ৫ জনকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে জামির শেখকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ বাকিদের পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে ।
জানা গেছে, পুলিশ জানতে পেরেছে যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে ওই বাড়ির মালিক মৃত মিন্টু শেখ । ধৃতদের মধ্যে হাঁসু ও পিনু হল ওই বাড়ির মালিকের ছেলে। হাঁসু ভাঙাচোরা সামগ্রী কেনাবেচার ব্যবসা করে। পিনু চাষাবাদ করে। তাদের আরও এক ভাই পরিযায়ী শ্রমিক । হাঁসু ও পিনু সেখান থেকে কিছুটা দূরে অন্যত্র বাড়ি করে বসবাস করলেও রোজ রাতে পিনু ওই বাড়িতে শুতে যেত। ওই বাড়িতে আলু পিঁয়াজ ইত্যাদি ফসল মজুত রাখত তারা। ছাগল বেঁধে রাখা হত। তাই হাঁসু ও পিনু বোমা বাঁধার খবর জানত বলে মনে করছে পুলিশ । পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে বোমা বাঁধার মশলা কেনার ব্যবস্থা থেকে বোমা বাঁধার কারিগর বরকতের সঙ্গে তুফান চৌধুরীর যোগাযোগের লিঙ্কম্যান হিসানে কাজ করেছিল জামির শেখ।
গত শুক্রবার রাতে কাটোয়া থানার রাজুয়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় মৃত মিন্টু শেখের বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল । সেই সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে । বিস্ফোরণের অভিযাতে ঘরটি কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় । পুলিশ গিয়ে বরকত কারিগরের মৃতদেহ ও তুফান চৌধুরীকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে । প্রথমে তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শনিবার তুফানকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে সারা শরীর ঝলসে যাওয়ার পাশাপাশি তুফানের দুই চোখই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সে কানেও নাকি শুনতে পাচ্ছে না । তবে তারই মধ্যে তুফানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ কেতুগ্রামের কাচরা গ্রামের বাসিন্দা জামির শেখ নামে ওই দুষ্কৃতীর হদিশ পায় । জামিরকে পাকড়াও করার পরেই পুলিশ শনিবার রাতে বাকি চারজনকে ধরে ।।

