“আত্মা কখনও চলিয়া যায় না,আসেও না,জন্মগ্রহণ করে না,মৃত্যু মুখেও পতিত হয় না। ইহা আত্মার সম্মুখস্থ প্রকৃতিরই গতি; এই গতির প্রতিবিম্ব আত্মায় পড়ে; তাহাতে আত্মা অজ্ঞানবশতঃ মনে করে, আমি-ই গমনাগমন করিতেছি, প্রকৃতি নহে । যখন আত্মা এইরূপ মনে করে, তখন সে বদ্ধাবস্থা প্রাপ্ত হয়, কিন্তু যখন সে জানিতে পারে-তাহার গতি নাই, সে সর্বব্যাপী, তখন সে মুক্তিলাভ করে। বদ্ধ আত্মাকে ‘জীব’ বলা হয়। এরূপে তোমরা দেখিতেছ, যখন বলা হয়- আত্মা আসিতেছে ও যাইতেছে, তখন তাহা কেবল বুঝিবার সুবিধার জন্যই বলা হয়, যেমন জ্যোতির্বিদ্যা-পাঠের সুবিধার জন্য তোমাদের মনে করিতে বলা হয়, সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরিতেছে, যদিও তাহা সত্য নহে। এইভাবে জীব উচ্চতর বা নিম্নতর অবস্থা প্রাপ্ত হয় । ইহাই হইল সেই সুপরিচিত ‘জন্মান্তরবাদ’, এবং সমগ্র সৃষ্টি এই নিয়মের অধীন ।”
“উদ্বোধন কার্যালয়” কলকাতা কর্তৃক প্রকাশিত “বেদান্ত কি এবং কেন(প্রশ্নোত্তর) স্বামী বিবেকানন্দ” থেকে সংগৃহীত ।