এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২২ সেপ্টেম্বর : বিগত লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছিল । পরাজিত হওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি চেয়েছিলেন তিনি । যদিও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তাকে সেই পদে বহাল রেখে দেয় । কিন্তু এবারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদও হারাতে হল অধীররঞ্জনকে । তার পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ শুভঙ্কর সরকারকে । শনিবার রাতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল একটি বিবৃতি জারি করে এই ঘোষণা করেছেন ।
দাবি করা হচ্ছে যে আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন অধীররঞ্জন । মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি ‘স্বৈরশাসক’ পর্যন্ত বলেছিলেন । যেকারণে ইন্ডি জোটের অন্যতম বড় শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হয় । এছাড়া লোকদভার ভোটে অধীররঞ্জনের জন্য কংগ্রেস- তৃণমূল আসন রফা হয়নি । তাই শাস্তি স্বরূপ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ খোয়াতে হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের ৫ বারের কংগ্রেসের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ।
এদিকে বরাবরই তৃণমূলের বিরোধী হিসেবে পরিচিত অধীররঞ্জন চৌধুরীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের একবার জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে । প্রসঙ্গত,সাংসদ থাকাকালীন সংসদের অধিবেশনে শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অধীররঞ্জন চৌধুরীর মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা খারাপ নয় । রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও অধীররঞ্জনের ‘সততা’ নিয়ে তার প্রশংসাও
করতে শোনা গেছে কখনো সখনো । সেই কারনে অধীরের গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিয়ে মাঝেমধ্যেই জল্পনা চলে । এখন দেখার বিষয় যে অধীররঞ্জন কি করেন । তবে এটা দিনের আলোর মত স্পষ্ট যে বিজেপিতে যোগদান করলে অধীররঞ্জনকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করবেন নরেন্দ্র মোদী ।।