প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৫ জানুয়ারী : পিকনিক করতে আসা ব্যক্তিরা দামোদরের তীরে দেখতে পেয়েছিলেন একটি প্রস্তর মূর্তি। পিকনিকের স্থান ছিল পূর্ব বর্ধমানের রায়নার হরিপুর গ্রাম।ওই মূর্তিটি আসলে যে ব্যাসাল্ট পাথর নির্মিত এগারো শো বছর আগের পাল- সেন যুগের ব্যতিক্রমী সূর্য মূর্তি,তা জানতে পারেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এর পরেই মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ রবিবার মূর্তিটি উদ্ধার করে।মূর্তিটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে এনে রাখা হয়েছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী ,রায়নার হরিপুরে পিকনিক করতে গিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি দামোদর তীরে এই মূর্তিটি দেখতে পান। মূর্তিটির ছবি চলে আসে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামের আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরার হাতে। বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং পুলিশ প্রশাসনকেও জানান।তার পরেই মূর্তিটি উদ্ধারের প্রস্তুতি শুরু করে দেয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। রবিবার রায়না থানা এবং গ্রাববাসীরা মূর্তিটি উদ্ধারে সহযোগীতা করেন
শ্যামসুন্দর বেরা জানিয়েছেন, মূর্তিটি রায়নায় হরিপুর গ্রামে পাওয়া গিয়েছে। গ্রামটি রায়নার নতু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পড়ে।মূর্তিটি দামোদর নদের গর্ভ থেকে পাওয়া যায়।মূর্তিটি ’ব্যাসাল্ট’ পাথর নির্মিত পাল-সেন যুগের মূর্তি।দশম- একাদশ শতকের এই মূর্তিটি এগারোশো বছরের পুরনো হবে।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম এণ্ড আর্ট গ্যালারির ইনচার্জ শ্যামসুন্দর বেরা আরো জানান, মূর্তিটির উচ্চতা তিনফুট। প্রস্থে দেড় ফুট।মিউজিয়ামে আরো বেশ কয়েকটি ’সূর্যমূর্তি’ থাকলেও এই মূর্তিটি ব্যতিক্রমী।কারণ, এটিতে স্টেনের উপর কীর্তিমুখ এবং উড়ন্ত বিদ্যাধর আছেন। এই মূর্তিটির মুখমণ্ডল ভাঙা। এটিতে একচক্র এবং সপ্ত-অশ্ববাহী রথ আছে।দামোদর থেকে বালি তোলার সময় মূর্তিটির মুখমণ্ডল ভেঙে গেছে কিনা মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ তা জানার চেষ্টা করছে।পাল – সেন যুগের ’সূর্যমূর্তি’ রায়নার হরিপুরে দামোদরে কিভাবে এল,সেই বিষয়টি নিয়েও খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে ।।