এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ মার্চ : সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) দেশ জুড়ে লাগু করেছে কেন্দ্র সরকার । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ও এমকে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন তামিলনাড়ুর সরকার তাদের রাজ্যে সিএএ লাগু করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছে । কেরালার সিপিএম সরকার ও ইসলামি রাজনৈতিক দল সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সিএএ-এর উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে । এমতবস্থায় কেন্দ্র সরকারকে একটা অভিনব পরামর্শ দিয়েছেন মিজোরাম এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায় । তিনি বাংলাদেশ, পাকিস্থান ও আফগানিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের খৎনা দেখে চিহ্নিত করার আবেদন জানিয়েছেন। তার অভিযোগ যে সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এরাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ।
তথাগত রায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘টিএমসি সিএএ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্রমাগত সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এ কারণে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। এমতাবস্থায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীঘ্রই স্পষ্ট করা উচিত যে বাংলাদেশে ইসলামিক নৃশংসতার কারণে যে সমস্ত হিন্দু শরণার্থীরা শুধুমাত্র পোশাক পরে ভারতে পালিয়ে এসেছেন তারা কীভাবে নাগরিকত্ব পাবেন এবং যেসব শরণার্থীর নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে তাদের অবস্থা কী হবে।’
কাদের নাগরিকত্বের অধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত এই বিষয়েও কেন্দ্র সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তথাগত রায় । তিনি লিখেছেন,’একজন হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান উদ্বাস্তুকে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। শরণার্থী পুরুষের ধর্ম খতনা বা অন্য কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষা করা উচিত। এই প্রক্রিয়ায় যে পুরুষকে হিন্দু হিসেবে পাওয়া যায়, তাদের সঙ্গে থাকা নারীদেরও হিন্দু বলে গণ্য করা উচিত।’
তিনি আরও লিখেছেন,’যদি কোনো কারণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্বের আবেদন খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তাদের এখানে থাকতে দেওয়া উচিত। এটা নিশ্চিত করা উচিত যে তাদের কোনোভাবেই ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না।’
প্রসঙ্গত,সিএএ আইন মূলত প্রতিবেশী তিন ইসলামি দেশের মুসলিমদের অত্যাচারে ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতে পালিয়ে পালিয়ে আসা, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া । কিন্তু আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মত নেতাদের দাবি যে শুধু অমুসলিমই নয়, পরন্তু মুসলিম শরণার্থী এবং এমনকি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হোক । ওয়াইসির মতই কার্যত দাবি তুলে সিএএ আইনকে ‘একপেশে আইন’ বলে বিরোধ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি ।।