এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম,২২ ডিসেম্বর ঃ ‘কিছু পুলিশ অফিসাররা ভাবছেন যা ইচ্ছে করি,দিদি আমাদের বাঁচিয়ে দেবে । কিন্তু দিদিকে কে বাঁচাবে ? ভগবানও দিদিকে বাঁচাতে পারবে না । মে মাসে দিদিকে গঙ্গায় বিসর্জন করুন ।’ মঙ্গলবার কেতুগ্রাম-১ ব্লকের কাঁদরায় হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত জনসভায় এই ভাষাতেই হুংকার দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘আমাদের ওখানে গ্রাম্য কথায় একটা প্রবাদ আছে, ‘খুঁটির জোরে ভেড়া লড়ে’ । যারা খুঁটির জোরে লড়ার চেষ্টা করছেন তাদের বলে দিচ্ছি লড়ালড়ি বন্ধ করুন । মানুষের সেবা করা আপনাদের কাজ, সেবা করুন । মানুষ কষ্ট পেয়েছে তো আপনার কপালেও কষ্ট জমা হচ্ছে । বাকি জমানায় শান্তিতে থাকতে পারবেন না । বিনা কারনে যারা মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন,অসম্মান করছেন তাঁদেরকে ছাড়া হবে না । নাম লিখে রাখছি । সে নেতা হোক আর অফিসার হোক, তাদের ছাড়ব না ।’
দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘সারা দেশে আমরা সুশাসন দিয়েছি । কেন্দ্র সরকারের সমস্ত সুবিধা পেতে হলে এখানেও মোদি সরকার আনতে হবে ।’ এদিন ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । তিনি বলেন, ‘আগামী মে মাসে ভোট । অনেকে বলছে, কি দাদা ভোট দিতে পারবো তো ? আমি বলেছি আপনারা আপনাদের ভোট যাতে দিতে পারেন তার ব্যাবস্থা আমরা করব । দিল্লির পুলিশ আসবে। রাজ্যের পুলিশকে বুথের কাছে যেতে দেব না । এক কিমি দুরে বসবে ওরা । ওরা ভোট দেখবে । আর ভোট করবে কেন্দ্রের পুলিশ এসে ।’
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে দিদিমনি সিপিএমকে হারিয়ে যেমন সরকার করেছিল তেমনি ২০২১ সালে বিজেপি দিদিমনিকে হারিয়ে ২০০ সিট নিয়ে সরকার গঠন করবে । মানুষের স্বপ্ন পূরন করবে ।’
দেখুন ভিডিও :
এদিন কাঁদরায় জনসভায় শতাধিক মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেন । তার মধ্যে অনেক সংখ্যালঘু মানুষও ছিলেন । রাজ্য সভাপতির হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে এদিন তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান । এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুর্ব বর্ধমানে বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষসহ রাজ্য ও জেলার নেতারা ।
প্রসঙ্গত, কেতুগ্রাম বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকলেও বিগত লোকসভা নির্বাচনে ফলাফলের নিরিখে এখানে তাদের ধাক্কা খেতে হয়েছিল । কেতুগ্রাম-২ ব্লকে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে । মুখরক্ষা করেছিল কেতুগ্রাম-১ ব্লক । কিন্তু এদিন ওই ব্লকের সংখ্যালঘু মানুষদের বিজেপিতে যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।।