এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০২ জুলাই : পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় নির্মিত ‘জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার’ বা ‘দিঘা জগন্নাথ ধাম’-এর নাম করে বিতরণ করা রণযাত্রার ‘প্রসাদ’ নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে৷ বিজেপির দাবি প্রসাদের নামে যে গজা ও প্যাড়া বিতরণ করা হচ্ছে তা মুসলিমদের মিষ্টির দোকানে উৎপন্ন করা হয়েছে । বিজেপি এর নাম দিয়েছে ‘হালালা প্রসাদ’ ৷
গতকাল ডঃ অঞ্জয় বোস নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী (@AnjayBose) সেই কথিত প্রসাদের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,’তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে পাড়ার তৃণমুলীরা হালাল মিষ্টি দিতে এসেছিলো। বললো ৩০ টাকা দিন ডাক্তারবাবু, চাঁদা হিসাবে। আমি বাক্সটা নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। তারপর সিকিউরিটি কে বলেছি বার করে দিতে ওদেরকে । এখন এগুলো রাস্তার কুকুরও খাচ্ছে না। কী যে করি ? কলকাতা পুলিশ তোরা খাবি ?’
ডঃ অঞ্জয় বোসের এক্স প্রোফাইলে দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী তার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা ৷ শিক্ষাগত যোগ্যতা এইমস থেকে এমবিবিএস; পিজি/আইএনআই-সিইটি প্রার্থী৷ প্রোফাইলে তিনি উল্লেখ করেছেন,’পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের নির্বাচন- পরবর্তী সহিংসতার অধীনে হিন্দু গণহত্যার বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি’৷ ফলোয়ার্স ৩৮৪০ এবং তিনি ফলো করেছেন ২৫৬ জনকে ৷
এদিকে তার এই পোস্ট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে । মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নেটিজেনরা । রিমিতা লিখেছেন,’জগন্নাথ জগতের নাথ উনি সব দেখছেন।’ কৌশিক লিখেছেন,’সাহসী মনুষ্য, আত্মসম্মানে পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব ডঃ অঞ্জয় বোসবাবু, তবে যতদূর আমি জানি এইগুলো গ্রামে এবং শহরে ও বিভিন্ন অঞ্চলে রেশনের মাধ্যমে ডিলার বিলি করছে, রেশন কার্ডের এন্ট্রির মাধ্যমে। কিন্তু ৩০/- টাকা চাওয়াটা সত্যিই বিস্ময়কর, তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, ওরা চাইবেই ।’
রজত কুমার নস্কর লিখেচ্ছেন,’আপনাকে ফলো করার চেয়ে বেশি কিছু করা আমার পক্ষে আপাতত কিছু করা সম্ভব নয় ।’ জাস্টিস গাঙ্গুলির (প্যারোডি) প্রতিক্রিয়া, ‘তুইই পারিস ভাই এইসব করতে !’ কিন্তু কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ কেন ? এক ব্যবহারকারীর এই প্রশ্নের উত্তরে ডঃ অঞ্জয় বোস লিখেছেন,’আমি প্রায়ই ওদের ট্যাগ করি।’
গতকাল তমলুকের ময়নাতে জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘২০২৬ সালের ভোটে মমতার কিছু হিন্দু ভোটের দরকার হবে । তাই পচা গজা এবং প্যাড়া বিতরণ । পচা হালাল প্যাড়া এবং গজা বিতরণ হবে ৷ হালাল মিষ্টি ৷ আশা করি কেউ খাননি৷ নিয়েও ফেলে দিয়েছেন ? সামসুদ্দিনের মিষ্টির দোকান থেকে তৈরি । সামসুদ্দিন বলছে মিডিয়াকে ‘আমি হালাল মিষ্টি বানাই’ । হিন্দু হালাল খাবেন ? হিন্দি তো হালাল খায় না । হিন্দু ঝটকা খায়, হিন্দু হালাল খায় না ৷’।

