দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০১ মে : বিয়ের পরেও প্রেমিকের সম্পর্ক রেখে চলতো কিশোরী । কিন্তু পরিবার জানতে পারার পরেই মর্মান্তিক পরিণতি হল যুগলের । বাড়ির কিছুটা দুরেই বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার হল তাদের ঝুলন্ত মৃতদেহ । রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার মউগ্রাম মুসলিমপাড়ায় । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতদের নাম ইসলাম শেখ(১৭) ও রিম্পা খাতুন(১৬) । একই পাড়ায় তাদের বাড়ি । মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । দুটি পৃথক অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,মউগ্রামের বাসিন্দা পেশায় জনমজুর ঝরু শেখের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ছোট সামিউল ইসলাম শেখ । এবছর মউগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সামিউল । অন্যদিকে তাদের পাশেই বাড়ি রিম্পা খাতুনদের ৷ তিন ভাইবোনের মধ্যে সে বড় । সামিউলের সহপাঠী ছিল রিম্পা ৷ তবে সে টেস্ট পরীক্ষা দিলেও মাধ্যমিকে বসেনি । রিম্পা- সামিউলের মধ্যে স্কুলের পড়ার সময় থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । তবে এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি রিম্পার পরিবার ৷ মাস দুয়েক আগে রজব শেখ তাঁর মেয়ে রিম্পার বিয়ে দিয়ে দেয় । পাত্র একই পাড়ার বাসিন্দা আমজাদ শেখ নামে এক যুবক । কর্মসুত্রে অধিকাংশ সময় তিনি বাইরে থাকেন । এদিকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতো রিম্পা । স্বামীর অনুপস্থিতির সু্যোগে সে প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছিল । কিন্তু রজব শেখরা তা জানতে পেরে যায় ।
মৃতদের পরিবার সুত্রে খবর,এদিন খুব ভোরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় রিম্পা ও সামিউল ৷ তাদের বাড়ির অদূরেই রয়েছে একটি বাঁশ বাগান । সকালের দিকে কয়েকজন কৃষক বাঁশ বাগানের পাশ দিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় দু’জনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় । পরে তাদের উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
সামিউলের বাবা ঝড়ু শেখের অভিযোগ,’সম্পর্ক না রাখার জন্য দিন কয়েক আগে আমার ছেলেকে হুমকি দিয়েছিল রিম্পার বাবা রজব শেখ । আর তার জেরেই ওরা আত্মঘাতী হয়েছে বলে আমাদের অনুমান ।’ অন্যদিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিম্পার বাবা ।।