এইদিন ওয়েবডেস্ক,স্পেন,২৯ নভেম্বর : গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে বর্বরোচিত নৃশংস হামলা চালিয়েছিল ইরান ও কাতার সমর্থিত ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস । জীবন্ত পুড়িয়ে, শিরোচ্ছেদ করে,গুলি করে অন্তত ১,২০০ মানুষকে হত্যা করেছিল তারা । মৃতদের মধ্যে ছিল বেশ কিছু মহিলা ও শিশুও । এই নৃশংসতা দেখে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসকে ইসলামি স্টেটের থেকেও নৃশংস বলে অবিহিত করেন । এবারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিদেশ নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলও হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন । সেই সাথে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক বা গাজা উপত্যকায় হামাসের কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক ভবিষ্যৎ নেই ।’
স্পেনের বার্সেলোনা শহরে জেসেপ বোরেল যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন সেখানে ছিলেন জর্ডানের বিদেশমন্ত্রী আয়মান সাফাদি । তিনি অবশ্য বোরেলের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। সাফাদির মতে, তাঁর বিশ্বাস যে ভবিষ্যতের শাসকদের বেছে নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের।
বার্সেলোনায় সোমবার বোরেল ও সাফাদি অংশ নিয়েছিলেন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোটের ফোরামে। সেখানে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ৪৮টি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। তবে আমন্ত্রণ পেয়েও ফোরামে যোগ দেয়নি ইসরায়েল।
জোসেপ বোরেল বলেন,’কিছু বিষয়ে সবাই একমত হবেন। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে হামাসকে ফিরতে না দেওয়া। এই সংগঠন ফিলিস্তিনের মানুষসহ সবার জন্য ক্ষতি বয়ে এনেছে।’ গাজায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) ফিরে আসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন বোরেল। তিনি বলেন, একটি পুনরুজ্জীবিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দরকার। কারণ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ছাড়া কোনো অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও অভিবাসনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এর জেরে ইউরোপকেই প্রথম খেসারত দিতে হবে ।’।