আধুনিক যুগের ছেলেমেয়েরা প্রেমের বহিঃ প্রকাশেই ব্যস্ত থাকে। প্রেম হয় স্ট্যাটাস, নয়তো আউটলুকে, সঙ্গে স্বাধীন চিন্তা ভাবনা। সোশ্যাল সাইটের দৌলতে হাতের মুঠোয়। পরিচয় পর্ব থেকে রেস্টুরেন্ট, পার্ক কখনো শপিং মল , মাল্টিপ্লেক্সে একে অন্যের হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো । কখনো মেট্রোয় একে অন্যেকে জড়িয়ে ধরে অন্তহীন কথা, আবেগ, খুনসুটি ভালোবাসা যেন বড়াই করার মতো হয়তো একটু বেশি বেশিই । কারো দৃষ্টিকটু মনে হলেও ওদের পড়োয়া নেই। আমূল পরিবর্তন সমাজের…
দুর্বলতায় কখনো দু জোড়া ঠোঁট কাছা কাছি আসে। মুহূর্তে দুর্বলতায় হয়তো তা শরীরে মিলনে পর্যবসিত হয়। এই ব্যাপারটা ওদের সহজ আর পাঁচটা ঘটনার মতো। কিন্তু সম্পর্কের দীর্ঘতা ঠুনকো কাচের মতো ,ভেঙে যায় আকচার। কিন্তু তাতে কি এসব সামান্য ঘটনা। একসাথে কয়েকজোড়া প্রেম চলে। প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক জামা কাপড় পাল্টানোর মত। নিশ্চিত আশ্রয় কয়জন খোঁজে, বুকে মাথা রেখে?
অন্যদিকে এক বৃদ্ধ দম্পতি। বয়স্ক বৃদ্ধ বৃদ্ধা শেষ জীবনের আশ্রয় বৃদ্ধাশ্রম। পুত্র, বৌমার সংসারে ব্রাত্য। আধুনিক চিন্তাভাবনা আদব কায়দা রুচির সঙ্গে যোজন পার্থক্য, বড়ই বেমানান। সত্তরোর্ধ্ব স্ত্রী যখন বাথরুমে যায় ৮০ ঊর্ধ্ব স্বামী আলো জ্বেলে এগিয়ে যায় বাথরুম পর্যন্ত। কোথাও বাইরে বেরোলে স্ত্রীর হাত শক্ত করে ধরে থাকে । ভরসার ভালবাসা । কখনো সংসারের জন্য মন খারাপ করলে বৃদ্ধ স্বামীর বুকে মাথা রেখে চোখ থেকে জল গড়িয়ে পাঞ্জাবি ইষৎ ভেজে। বৃদ্ধ স্বামী মাথার উপর হাত বোলাতে বোলাতে বলে : অত চিন্তা করোনা, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমিতো আছি। স্নেহের পরশে আশ্রয়ের ভরসায় ,ভালবাসা বেঁচে থাকে বুকে…