ডি রায়,পূর্ব বর্ধমান,০৫ জুন: রাজ্যের শস্যভাণ্ডার বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা। আর সুজলা সুফলা পূর্ব বর্ধমান জেলা চাষাবাদে এগিয়ে থাকলেও কমেছে বনভূমি। সড়কপথের ধারে তাই আম জাম ইত্যাদি ফলের গাছ সহ বট অশ্বত্থ অর্জুন ইত্যাদি পুরানো বৃক্ষগুলি দেখা যায় না। বিগত এক দেড়দশকের মধ্যে কাটা পড়ছে অসংখ্য পুরানো বৃক্ষ। এখন তার মর্ম বুঝছেন সাধারণ মানুষ। তাই আবার বনসৃজনের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেকেই সচেতন হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ৫ জুন তাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন জেলাজুড়েই পালিত হল সবুজায়নের মধ্য দিয়ে।
এদিন ভাতারের দাশরথী হাজরা মেমোরিয়াল কলেজে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ভাতার গাছ গ্রুপের পক্ষ থেকে যৌথভাবে বনসৃজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কলেজের অধ্যক্ষ ইনামুর রহমান, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক নবীনানন্দ হাজরা, সমাজসেবী শিক্ষিকা আবেদা বেগম চৌধুরী, গাছ গ্রুপের কর্মকর্তা আসিক শেখ সহ এলাকার বিশিষ্টজনরা এই কর্মসূচিতে ছিলেন। বস্তুতপক্ষে প্রবীণ ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে নবীন প্রজন্ম হাতে হাত মিলিয়ে সবুজায়নের উদ্যোগ নেন। কলেজ চত্বরে বৃক্ষচারার পাশাপাশি ফুলগাছের চারা এবং ভেষজ উদ্ভিদ রোপণ করা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার দেওয়ানদিঘি থানার ওসি সরিফুল ইসলামের উদ্যোগে এদিন থানা চত্বরে বনসৃজন কর্মসূচি নেওয়া হয়। শতাধিক গাছের চারা রোপণ করা হয়। সরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন এলাকার মানুষদের মধ্যে বনসৃজনের উৎসাহ বাড়াতে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কয়েকজনকে বৃক্ষচারাও দেওয়া হয় রোপনের জন্য। আউশগ্রাম ১ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন বনসৃজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই অভিযানে সামিল হন আউশগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়, বিডিও শেখ কামরুল ইসলাম সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তারা। আউশগ্রামের গোপালপুর গ্রামের সহজ আশ্রমে এদিন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। ছিলেন যুব তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জু শেখ, লেখক রাধামাধব মণ্ডল। সঞ্জু জানিয়েছেন এলাকায় সবুজায়নের লক্ষ্যে বৃক্ষচারা বিতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলতি মরশুমে বনসৃজনের কর্মসূচি শুরু হবে।।

