এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতাড়(পূর্ব বর্ধমান),০২ জানুয়ারী : ভাতাড়ের বিডিওকে দায়ি করে ভাতাড় পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মীর চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ায় ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল প্রশসনিক মহলে । জানা গেছে, ওই কর্মীর নাম সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি ভাতার পঞ্চায়েত সমিতিতে ‘ডাটা এন্ট্রি অপারেটর’ পদে কর্মরত ছিলেন । শুক্রবার তিনি ভাতারের বিডিওর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন । বিডিওর মানসিক অত্যাচারের কারনেই তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে তাঁর অভিযোগ । যদিও এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি ভাতারের বিডিও তপন সরকার । তবে তিনি সন্দীপবাবুর ইস্তফাপত্র গ্রহন করার সুপারিশ করে শনিবার জেলাপ্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছেন বলে খবর ।
ইস্তফাপত্রে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে এসেছি । শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনেও অফিসে কাজ করেছি । বাড়িতে বসেও অফিসের কাজ করেছি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও । বর্তমানে বিডিও সাহেবের মানসিক অত্যাচারে এই ইস্তফাপত্র লিখতে বাধ্য হচ্ছি।” পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, “অনেক রাতে বাড়ি ফেরার পরেও ফোন করে বা হোয়াটসআ্যাপে আমার এক্তিয়ারভুক্ত কাজ করতে বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা নির্দেশ দিয়ে চলেন বিডিও সাহেব । যার মধ্যে সামঞ্জস্য নেই । সবই মোখিক । বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা, শ্বাশুড়ি, মেয়ে বর্তমান । এই মানসিক যন্ত্রণা নিতে পারছি না।”
এদিকে এদিন ভাতারের বিডিও তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র গ্রহন করার জন্য সুপারিশ করেছেন বলে খবর । জানা গেছে, বিডিও জানিয়েছেন ইস্তফাপত্র পাওয়ার পর তিনি সন্দীপবাবুকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য অফিসে আসতে অনুরোধ করেছিলেন । কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন শনিবার ও রবিবার ছুটির দিন । তাই তার পক্ষে আসা সম্ভব নয় । পাশাপাশি বিডিওর অভিযোগ সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অফিসে অনিয়মিত আসেন । তার জন্য সরাসরি কাজে বিঘ্ন ঘটছে । এছাড়া তাঁর কারনে অফিসের স্বাভাবিক পরিবেশও বিঘ্নিত হতে পারে বলে চিঠিতে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন বিডিও
তপন সরকার । সমগ্র ঘটনায় ভাতার ব্লক প্রশাসনের কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ।।