জয়দীপ মৈত্র,গঙ্গারামপুর(দক্ষিণ দিনাজপুর),০৯ এপ্রিল : ভোরে শৌচকর্ম সারতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী । মেয়েটির মুখে গামছা বেঁধে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে । এমনকি ঘটনার কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাট ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার চায়নাবাজ(হামজাপুর) এলাকায় । অভিযুক্ত যুবক জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা কিশোরীর মা । পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পলাতক । তার সন্ধান চলছে ।
জানা গেছে,গঙ্গারামপুর থানার চায়নাবাজ (হামজাপুর) এলাকার বাসিন্দা জহুরুল ইসলামদের বাড়ির পাশেই বাড়ি নির্যাতিতা কিশোরীদের । মেয়েটি স্থানীয় বাসুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী । ঘটনাটি ঘটে চলতি মাসের ৩ তারিখে । শুক্রবার নির্যাতিতা কিশোরীর মা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন,’রমজান মাস চলছে । তাই রোজা রাখার জন্য ভোর রাতে প্রাতঃকৃত্য সারতে বাড়ির শৌচালয়ে গিয়েছিল তাঁর মেয়ে । কিন্তু সে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি শৌচালয়ের পিছনে অন্ধকারের মধ্যে লুকিয়ে বসে আছে প্রতিবেশী যুবক জহুরুল ইসলাম । তাঁর মেয়ে শৌচাগারের কাছে যেতেই ওই যুবক অন্ধকার থেকে বেড়িয়ে এসে মেয়ের মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে তাকে জোর করে শৌচাগারের পিছনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে । কোনওভাবে গামছা সরিয়ে তাঁর মেয়ে চিৎকার করে উঠলে পরিবারের লোকজন সবাই ছুটে যান । তাঁরা ওই যুবককে ধরেও ফেলেন । কিন্তু থানায় ফোন করার আগেই যুবকের বাড়ির লোকজন জানতে পারে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে পালায় । অভিযোগকারিনীর কথায়,’অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে ঘটনার কথা প্রকাশ করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে । তাই এই ক’দিন ভয়ে চুপ করেছিলাম । শেষে সাহস করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ।’
অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ । ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নির্যাতিতা নাবালিকা ।।