প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ নভেম্বর : জমিতে নাড়া পোড়ানো বন্ধের জন্য কৃষি দফতর নানা ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি নাড়া পোড়ানো। আর সেই নাড়ার আগুনের উপর পুড়ে গিয়ে মৃত্য হল দিলীপ চক্রবর্তী ওরফে কানু (৭২) নামে এক বৃদ্ধ কৃষকের।শুক্রবার বেলায় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কলানবগ্রামের ফুলকোরের মাঠে। এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে আর কবে নাড়া নিয়ে সচেতন হবেন রাজ্যের শস্যগোলার চাষিরা ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন বেলায় দিলীপ চক্রবর্তী তাঁদের জমির নাড়া পুড়িয়ে ফিরে আসছিলেন।তারই মধ্য আগুনের ফুলকি উড়ে গিয়ে পাশের ধানের জমিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তা নেভাতে গিয়ে তিনি কোনভাবে ওই জমির আগুনের উপর পড়ে গিয়ে অচৈতন্য হয়েযান।অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এই খবর পেয়ে মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায় । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় ।
পরিবার সদস্যদের কথায় জানা গিয়েছে,প্রৌঢ়
দিলীপ চক্রবর্তী এদিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ খেত জমিতে গিয়েছিলেন।তার ঘন্টা খানেক পরে তিনি নাড়ার আগুনে পুড়ে মারা যান বলে পরিবার সদস্যরা জানতে পারেন। মৃতের ভাই প্রদীপ চক্রবর্তীর জানিয়েছেন,বাড়িতে দিলীপ বাবুর স্ত্রী অর্চনাদেবী রয়েছেন। দিলীপ বাবুর দুই মেয়ে বিবাহিতা। ধানগাছ কাটা হয়ে যাবার পর জমিতে সর্ষে চাষ করার কথা দিলীপ বাবু ভেবেছিলেন। সে জন্যে নাড়া পোড়াতে গিয়েছিল। মনে হচ্ছে, সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর চেষ্টাও করে। কিন্তু আগুন নেভাতে পারেনি। দাদার গায়ে লেগে যায়। ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত পাল. অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন,’জমিতে নাড়া না পোড়ানোর জন্য কৃষি দফতর সব সময় সচেতন করা যাচ্ছে। কিন্তু শোনে কে? এদিনের
ঘটনার পরেও যদি কৃষকরা সচেতন না হয়
তা হলে কার কি করার আছে ।’ জেলার কৃষি উপ-অধিকর্তা আশিস কুমার বারুই বলেন,’আমরা লাগাতার প্রচার করছি। তাতে কিছুটা হলেও কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে।আরো সচেতনতা প্রচার চালানো হবে ।’।