এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ মে : অর্থ পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা ও তার দলবলের মোট ১৪,২৮ কোটি টাকার সম্পত্তি অস্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করল ইডি কলকাতা । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়ে বলা হয়েছে যে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১৭ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা ৩.৭৮ কোটি টাকা এবং ৩৮.৯০ বিঘার ৫৫ টি স্থাবর সম্পত্তি, যার আনুমানিক মূল্য ১০.৫০ কোটি টাকা । বলা হয়েছে যে ওই সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিগুলি যথাক্রমে শেখ শাহজাহান, শেখ আলমগীর, আলমগীর পরিচালিত সেখ সুমাইয়া হাফিজিয়া ট্রাস্ট,আব্দুল আলিম মোল্লা ও শিব প্রসাদ হাজরার নামে রয়েছে । মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ আইনের আওতায় ওই সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি ।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে গিয়ে সন্দেশখালির সরবেড়িয়াতে শাহজাহানের ‘রোহিঙ্গা বাহিনী’র হাতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। মাথা ফাটে ইডির তিন আধিকারিকের। ওই ঘটনায় আজুজির শেখ, আলি হুসেন, সঞ্জয় মণ্ডল-সহ সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনেক টালবাহানার পরে হামলার ৫৬ দিন পর গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে । পাশাপাশি অভিযোগ ওঠে যে শাহজাহানের বাহিনীকে আড়াল করতেই নির্দোষদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের একটি দল তদন্তও করে আসে । এবারে শাহজাহানকে আড়াল করার অভিযোগ উঠল রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিশের বিরুদ্ধেও । শুক্রবার এনিয়ে রাজ্যকে সতর্ক পর্যন্ত করে দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । সন্দেশখালিতে ৩ বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় চার্জশিট থেকে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে তিনি প্রশ্নও তুলেছিলেন । শেষ পর্যন্ত চার্জশিটে শাহজাহানের নাম রাখতে বাধ্য হয় পুলিশ । পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট বিচারক মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছিল । কিন্তু সিআইডির নিরপেক্ষতা নিয়েও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন তুলেছেন শুক্রবার । বিচারপতি সন্দেশখালির ৩ বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় অতিরিক্ত কেস ডায়েরির কপি ও রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । ওই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।।