প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১১ ডিসেম্বর : সামান্য টেলারিং ব্যবসায়ীর একাউন্টে হঠাৎ করে ১০ লক্ষ টাকা জমা পড়া আবার সদ্য দিনেই ওই টাকা তুলে অন্যকে পরিষোধ।এর রহস্য উদঘাটনে মঙ্গলবার দিনভর ইডির তল্লাশি চললো বর্ধমানে।এদিন সকাল ৭ টায় বর্ধমানের লস্করদিঘির পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মইনুল হাসান মল্লিকের বাড়িতে ইডির একটি টিম হানা দেয়। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।আর তা নিয়ে এদিন ব্যাপক শোরগোল পড়েযায় শহর বর্ধমানের বাসিন্দা মহলে।
ইডির পাঁচ জনের একটি দল এদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৫ পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় মইনুল হাসান মল্লিক ও তাঁর পরিবার সদস্যদের। কি কারণে ইডির হানা তা অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে গোপন রাখেন নি মইনুল । তিনি বলেন,গত ২১ নভেম্বর তাঁর একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা দেয় সুকান্ত ব্যানার্জী নামে একজন পরিচিত। সুকান্তর বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে।ওই দিনই সুকান্তর কথা মত তিনি অপর একজনকে ওই ১০ লক্ষ টাকা তুলে দেন বর্ধমানের ভাঙাকুঠি এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা থেকে। যদিও টাকা তুলে যে ব্যক্তির হাতে তিনি ওই টাকা তুলে দিয়েছেন সেই ব্যক্তি তাঁর অপরিচিত নয় বলে মইনুল হাসান মল্লিক দাবি করেছেন।একই সঙ্গে তিনি বলেন,ওই সেই ১০ লক্ষ টাকার লেনদেনের পরিপেক্ষিতেই তাঁর বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা হানা দেয়।
কোভিডের পর কাতারে দেড় বছরের মত ছিলেন মইনুল হাসান।সেখানে তিনি টেলারিংয়ের কাজ করতেন।আবাস যোজনার ঘর তিনি পেয়েছেন। সেই ঘর তৈরির জন্য তিনি ১ লক্ষ টাকা পান।পাশাপাশি তিনি ১০ লক্ষ টাকা লোন করেন। মল্লিক পরিবারের ছোট ছেলে হাসান।তাঁরা দাদার বাড়ি একই জায়গায়।বাড়িতে তাঁর বাবা মাও আছেন।পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তেমন ভাল নয়।হাসান জানান, ইডি আধিকারিক তাঁকে সাত দিন সময় দিয়েছে। এই সাতদিনের মধ্যে ওই ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে তাঁকে ইডির হাতে তুলে দিতে হবে।না হলে তাঁর বাড়ি সিজ করার পাশাপাশি তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও ইডি ইডি আধিকারিকরা এদিন জানিয়ে গিয়েছেন।
সুকান্ত ব্যানার্জীর সঙ্গে এদিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হাসানকে চেনে না বলে ইডি আধিকারিকদের জানান ।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি আধিকারিকরা এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোন মন্তব্য করেন নি।তবে মইনুল হাসান মল্লিকের স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন,বাড়িতে আমার সাত বছরের সন্তান রয়েছে। কোন অন্যায় ঘটনায় আমরা জড়িত নই।।