এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৪ এপ্রিল : বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের উত্থানের কাহিনী হলিউডের সাসপেন্স থ্রিলারকেও হার মানাবে । সিপিএমের পর রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠা শাহজাহানের বিরুদ্ধে কালো টাকা সাদা করার প্রমাণ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । শেখ সাবিনার নামে নিবন্ধিত চিংড়ি এবং চিংড়ি রপ্তানি ব্যবসার মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির ৩১.২০ কোটি টাকার তহবিল শাহজাহান সরিয়েছে বলে মনে করছে ইডি । এই কারণে শাহজাহানের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি। মঙ্গলবার মইদুল মোল্লা নামে শাহজাহানের এক সহযোগীকে তলব করে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে ইডি । এরপর শাহজাহানের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয় । এছাড়া শাহজাহানের আরো ১৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দিকে নজর রয়েছে তদন্তকারী দলের । ইডি ওই অ্যাকাউন্ট গুলির লেনদেনর হিসাব চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে ।
ইডি সূত্রের খবর,শাহজাহানের সঙ্গে কলকাতার একটি চিংড়ি রপ্তানিকারক সংস্থার লেনদেন হত । ওই সংস্থার সঙ্গে ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি । গত ৫ জানুয়ারী সন্দেশখালীতে ইডি এবং সিএপিএফ কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহানকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এবং পরে ইডি তাকে হেফাজতে নিয়েছিল । সোমবার, কলকাতার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) একটি বিশেষ আদালত শাহজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। শেখ শাহজাহান তার ব্যবসার মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির আয় সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি, সন্দেশখালীতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ও অবৈধভাবে খামারের জমি দখল এবং জমিতে লবণাক্ত জল ঢুকিয়ে অবৈধভাবে মৎস্য খামারে রূপান্তরিত করার অভিযোগ রয়েছে।।