জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আসানসোল,১৮ জানুয়ারী : ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাস। রাণীগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারিতে ঘটে গেল শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়। খনিতে ধ্বস নামায় মাটির নীচে ঘন অন্ধকারে আটকা পড়ল ৬৫ জন শ্রমিক। কোনোরকমে খবরটা উপরে এসে পৌঁছায়। তাদের উদ্ধারের জন্য শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতা। প্রবীণদের কাছে শোনা যায় সেই কাহিনী।
এটা একটা বড় ঘটনা। খনির গহ্বরে কালো হীরের সন্ধানে ছোটখাটো বিপর্যয় নিয়মিত ঘটেই থাকে। আহত শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তার আগে প্রয়োজন হয় প্রাথমিক চিকিৎসা অর্থাৎ ‘ফার্স্ট এইড’-এর।
এটা নিয়েই গত ১৭ ই জানুয়ারি দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আসানসোলে ‘মাইনস রেসকিউ’ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। খনি দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে তাদের প্রাণরক্ষা করার জন্য কিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হবে সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দুই মহিলা দল সহ ইসিএলের ১৩ টি এরিয়ার ২৮ টি দল একদিনের এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ঐশ্বর্যা সরকার বললেন,’শুধু খনি নয় যেকোনো দুর্ঘটনায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কী কী করতে হবে সেটা শিখলাম। খুব ভাল লাগছে।’
ইসিএলের জিএম রেসকিউ রাজকুমার বাবু বললেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে যে সর্বভারতীয় ‘ফার্স্ট এইড’ প্রতিযোগিতা হবে এখান থেকে চারটি দল সেখানে অংশগ্রহণ করবে। এলাকার প্রায় ১৫০ জন এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে ।’।