“দ্বাদশ আর্য স্তুতি” হলো সূর্য দেবতার উদ্দেশে একটি স্তোত্র, যা তাঁর ১২টি রূপকে বর্ণনা করে এবং আরোগ্য ও অন্যান্য বর প্রার্থনা করে। এই স্তোত্রে সূর্যকে আহ্বান করে হৃদরোগ ও পিত্তরক্তজনিত রোগ (হরিমাণ) নিরাময়ের জন্য প্রার্থনা করা হয় এবং তাঁর দ্বাদশ মূর্তির (কর্ম, জ্ঞান, দশক, মন, জীব ইত্যাদি) কাছে মোক্ষ বা আনন্দ লাভের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়।
উদ্যন্নদ্যবিবস্বানারোহন্নুত্তরাং দিবং দেবঃ ।
হৃদ্রোগং মম সূর্য়ো হরিমাণং চাঽঽশু নাশয়তু ॥ ১ ॥
নিমিষার্ধেনৈকেন দ্বে চ শতে দ্বে সহস্রে দ্বে ।
ক্রমমাণ যোজনানাং নমোঽস্তু তে নলিননাথায় ॥ ২ ॥
কর্মজ্ঞানখদশকং মনশ্চ জীব ইতি বিশ্বসর্গায় ।
দ্বাদশধা যো বিচরতি স দ্বাদশমূর্তিরস্তু মোদায় ॥ ৩ ॥
ত্বং হি যজূঋক্সামঃ ত্বমাগমস্ত্বং বষটকারঃ ।
ত্বং বিশ্বং ত্বং হংসঃ ত্বং ভানো পরমহংসশ্চ ॥ ৪ ॥
শিবরূপাত্ জ্ঞানমহং ত্বত্তো মুক্তিং জনার্দনাকারাত্ ।
শিখিরূপাদৈশ্বর্য়ং ত্বত্তশ্চারোগ্যমিচ্ছামি ॥ ৫ ॥
ত্বচি দোষা দৃশি দোষাঃ হৃদি দোষা যেঽখিলেংদ্রিয়জদোষাঃ ।
তান্ পূষা হতদোষঃ কিংচিদ্রোষাগ্নিনা দহতু ॥ ৬ ॥
ধর্মার্থকামমোক্ষপ্রতিরোধানুগ্রতাপবেগকরান্ ।
বংদীকৃতেংদ্রিয়গণান্ গদান্ বিখংড়যতু চংডাংশুঃ ॥ ৭
যেন বিনেদং তিমিরং জগদেত্য় গ্রসতি চরমচরমখিলম্ ।
ধৃতবোধং তং নলিনীভর্তারং হর্তারমাপদামীড়ে ॥ ৮ ॥
যস্য সহস্রাভীশোরভীশু লেশো হিমাংশুবিংবগতঃ ।
ভাসয়তি নক্তমখিলং ভেদযতু বিপদ্গণানরুণঃ ॥ ৯ ॥
তিমিরমিব নেত্রতিমিরং পটলমিবাঽশেষরোগপটলং নঃ ।
কাশমিবাধিনিকায়ং কালপিতা রোগয়ুক্ততাং হরতাত্ ॥ ১০ ॥
বাতাশ্মরীগদার্শস্ত্বগ্দোষমহোদরপ্রমেহাংশ্চ ।
গ্রহণীভগংধরাখ্য়া মহতীস্ত্বং মে রুজো হংসি ॥ ১১ ॥
ত্বং মাতা ত্বং শরণং ত্বং ধাতা ত্বং ধনং ত্বমাচার্য়ঃ ।
ত্বং ত্রাতা ত্বং হর্তা বিপদামর্ক প্রসীদ মম ভানো ॥ ১২ ॥
ইত্য়ার্য়াদ্বাদশকং সাংবস্য পুরো নভঃস্থলাত্পতিতম্ ।
পঠতাং ভাগ্যসমৃদ্ধিঃ সমস্তরোগক্ষযশ্চ স্যাত্ ॥ ১৩ ॥
।। ইতি শ্রীসাংবকৃতদ্বাদশার্য়াসূর্যস্তুতিঃ ।।
প্রথম শ্লোকে: সূর্যকে আহ্বান করে হৃদরোগ ও হরিমাণ (পিত্তরক্তজনিত রোগ) নিরাময়ের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
দ্বিতীয় শ্লোকে: সূর্যকে নক্ষত্রের পতি বা নলিননাথ বলা হয়েছে এবং তাঁর যোজন অতিক্রম করার গতিকে নমস্কার জানানো হয়েছে।
তৃতীয় শ্লোকে: সূর্যকে কর্ম, জ্ঞান, মন, জীব, এবং দ্বাদশ মূর্তিতে বিশ্বসৃষ্টির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থ ও পঞ্চম শ্লোকে: সূর্যকে যজূ, ঋক, সাম, অগম, বষটকার, বিশ্ব, হংস, পরমহংস এবং শিব, জনার্দন, শিখি রূপে বর্ণনা করে জ্ঞান, মুক্তি, ঐশ্বর্য এবং আরোগ্য প্রার্থনা করা হয়েছে।

