প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৯ মে : ড্রেন তৈরি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তুমুল ঝগড়া অশান্তি চলার মাঝেই চললো গুলি। যা নিয়ে মঙ্গলবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর অঞ্চলের মগলামপুর গ্রামে।খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ গ্রামে পৌছে উত্তেজনা সামাল দিয়েই ঘটনাস্থল থেকে একটি দোনলা বন্দুকটি উদ্ধার করে ।পাশাপাশি গুলি চালানোর দায়ে পুলিল মগলামপুর গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব সাধুখাঁ ও তাঁর ছেলে রাজীব সাধুখাঁ কে ধরে থানায় নিয়ে যায়।এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ )সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানিয়েছেন,গুলি চালানোর ঘটনায় দু’জনকে ধরা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,মগলামপুর গ্রামেই বসবাস করেন।অশোক বিশ্বাস এবং বিপ্লব সাধুখাঁর পরিবার। অশোক বিশ্বাস এদিন বেলায় তাঁর বাড়ির সামনে একটি জল নিকাশি ড্রেন তৈরি করতে যান প্রতিবেশী বিপ্লব সাধুখাঁ ড্রেন তৈরি করতে অশোক বিশ্বাসকে বাধা দেন। তা নিয়ে চরম বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষ। অভিযোগ ওই অবস্থার মধ্যেই বিপ্লব সাধুখাঁর ছেলে রাজিব সাধুখাঁ হঠাৎ ঘর থেকে তাঁদের লাইসেন্স প্রাপ্ত দোনলা বন্দুক বের করে এনে গুলি চালায় ।কিন্তু বরাত জোরে অশোক বিশ্বাস রক্ষা পান।গুলির শব্দ শুনে গ্রামের মানুষজন প্রথমে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেও পরে তারা গোটা ঘটনা জেনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
অশোক বিশ্বাস বলেন,আমার ছেলের বিয়ের দিন নির্দিষ্ট হয়ে গেছে।তাই বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে
ড্রেনের পাশে পাইপ বসানো হচ্ছিল।প্রতিবেশী বিপ্লব সাধুখাঁ তাতে বাধা দিলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি ।ওই সময়ে দু’জনের মধ্যে যখন কথা কাটাকাটি হচ্ছিল তখন আচমকাই বিপ্লবের ছেলে রাজীব সাধুখাঁ ঘর থেকে বন্দুক বের করে এনে চালায়।অশোকবাবু জানান ,’তাঁর দাদা বন্দুকের নলটা উপরদিকে না করে দিলে তাঁর বড় বিপদ ঘটে যেত ।অশোকবাবুর ভাই গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন,আমার দাদা ভ্যাগের জোরে রক্ষা পেয়ে গেলেও গুলির ছররা লেগে তিনি সহ মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন।’বিপ্লব সাধুখাঁ ও তাঁর ছেলে রাজীব সাধুখাঁর দৃষ্টান্ত মূল শাস্তির দাবি করেছেন বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা। মেমারি থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ,বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করার পশাপাশি বাবা ও ছেলে দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
রাজীব সাধুখাঁ এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
।সামান্য একটা ড্রেন তৈরি করানিয়ে বিবাদ চলাকালীন এক ছাত্র বন্দুক বের করে গুলি চালিয়েছে জেনে হতবাক গ্রামের মানুষজন।যদিও
রাজীব সাধুখাঁর দাবি,তাঁদের মারধর করা হচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে নিজেদের বাঁচার জন্য সে বন্দুক বের করে ।।