এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২১ ফেব্রুয়ারী : পাকিস্তানের অর্থনীতি বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে । বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় শেষ হয়ে গেছে । আমদানির জন্য কোনো অর্থ অবশিষ্ট নেই । পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ (Khawaja Asif) ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন যে পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে । এদিকে এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর । কাঁচামালের অভাবে তালা ঝুলছে কারখানাগুলোতে । সুজুকির স্থানীয় ইউনিট ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ বন্ধ ঘোষণা করেছে । আরো ডজন খানেক কোম্পানি রয়েছে যারা হয় তাদের উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে অথবা কমিয়ে দিয়েছে । সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে, সুজুকি মোটরস ছাড়াও গান্ধার টায়ার এবং রাবার কোম্পানিও কাঁচামাল না পাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও জিএসকে-এর পাকিস্তানি ইউনিট, এনগ্রো ফার্টিলাইজারস, ফৌজি ফার্টিলাইজার্স বিন কাসিম লিমিটেড, নিশাত চুনিয়ান লিমিটেড, আমরাইলি স্টিল লিমিটেড, মিলেট ট্র্যাক্টরস লিমিটেড এবং ডায়মন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ বা ধীর করে দিয়েছে । বড় গাড়ি কোম্পানিগুলি প্ল্যান্ট বন্ধ করায় গাড়ি বিক্রিকে প্রভাবিত করেছে। শুধু তাই নয়, দেশের বড় বড় ফার্মা কোম্পানিগুলো সেখানকার কর্তৃপক্ষকে বলেছে, তাদের কাছে পণ্য নেই, তাই তারা উৎপাদন করছে।
উল্লেখ্য,বিগত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারন করেছে । নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম মানুষের আয়ের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানে সঙ্কটের মেঘ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। এমনটা চলতে থাকলে দেশের বেকারত্ব সমস্যা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে পুরোপুরি ভেঙে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে । আরিফ হাবিব লিমিটেডের গবেষণা ও বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান তাহির আব্বাস বলছেন, প্রথম সারির কোম্পানিগুলোর এমন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা তিনি আগে দেখেননি । তিনি পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ।
এদিকে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ মানুষ কাজ হারাচ্ছে । মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি বর্তমানে বেকারত্ব সমস্যা প্রবল আকার ধারন করেছে পাকিস্তানে । বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে কল কারখানা বন্ধ হতে থাকলে পাকিস্থানের ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব হয়ে । তখন দেশ জুড়ে গৃহযুদ্ধ বেধে যাবে ।।