জর্জ চৌধুরী,বর্ধমান,১৬ নভেম্বর : ভাই দ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে বোনেরা ভাইদের মঙ্গল চেয়ে যমের দুয়ারে কাঁটা দিলেও করোনা কাঁটায় জেরবার সারা বিশ্ব।আর সেই কাঁটার হাত থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে অনেক বোনই এইদিন বেছে নিলেন ভার্চুয়াল ফোঁটাকে।নজরকাড়া এই আয়োজনেই বোনেরা তাক লাগিয়ে দিলেন অনেককেই।মন্ত্রী থেকে সেলিব্রিটি ভাইদের জন্যও এই আয়োজন নজর পড়লো সোমবার।অনলাইনেই ভাই ও বোনেরা একে অপরের মধ্যে উপহারও আদানপ্রদান করলেন।
করোনা আবহে ট্রেন চালু হলেও ট্রেনে ব্যাপক ভিড়।তার উপর করোনা কাঁটার আতঙ্ক তো রয়েছেই।আর সেই কারণেই অনেক ভাই বোনই একে অপরের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।তাই মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমেই এইবারের ভার্চুয়ালি ফোঁটায় অনেক বোনের মুখেই উচ্চারিত হল‘ ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।’পূর্ব বর্ধমানের কালনায়,দাঁইহাটের কাঁসারি বাড়িতে ও পূর্বস্থলীতে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের মতো অনেক ভাইকেই দেখা গেল মোবাইলের ওপার থেকে বোনেদের কাছ থেকে ফোঁটা নিতে।দূরদূরান্তে থাকা ভাই বোনদের প্রথম থেকে একটা চিন্তাই ছিল গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে না পারলে এইবারের ভাইফোঁটা কিভাবে হবে।যদিও উন্নত প্রযুক্তিই বোনেদের সেই আশাকে পূরণ করেছে।অনলাইনের মাধ্যমে ফোঁটা ও উপহার পেয়ে ভাইয়েরা খুশি হলেও বোনেদের তৈরী ভুঁরিভোজের লোভনীয় পদের জন্য মন বেশ ভারাক্রান্তই।যদিও অনলাইনেই উপহার বুক করে ভাই পাঠিয়ে দিয়েছে বোনের বাড়ি।তেমনিই বোনও অনলাইনে জিনিস বুক করে দিয়েছে ভাইকে।করোনা আবহে সুরক্ষিত থাকতে এমনই ভাইফোঁটার আয়োজন বলে তারা জানান।কলকাতা থেকে বোন শতাব্দী বিশ্বাস দাঁইহাটের ভাই সিদ্ধার্থ দাসকে,দাঁইহাট থেকে বোন রিয়া দাস কলকাতার দাদা সুব্রত দাসকে ফোঁটা দেন।কালনার যোগীপাড়া থেকে সুবর্ণা দাস কলকাতায় থাকা দাদা শুভম সাহাকে ভার্চুয়ালি ফোঁটা দেন।এই বিষয়ে সুবর্ণা দাস বলেন,‘বছরে এই একটি দিনে দাদাকে ফোঁটা দিয়ে ওর সেরা পছন্দের খাবারের আয়োজন করি।কিন্তু এইবার আর তা হোলো না।তাই মনটা খারাপ।এই পরিস্থিতিতে কি করে ফোঁটা দেবো প্রথম থেকেই এমন একটি চিন্তা ছিলো।যদিও শেষপর্যন্ত ভার্চুয়ালি তা সম্ভব হয়।আর অনলাইনের মাধ্যমেই উপহার আদানপ্রদানও হয়।’অন্যদিকে ভাই সিদ্ধার্থ দাস বলেন,‘এই দিনটিতে বোনের হাতে লোভনীয় বিভিন্ন ধরনের পদ খেতে কার না ভালো লাগে।এইবার করোনা কাঁটার জেরে ও ট্রেনে ভিড় থাকার জন্য পৌঁছাতে পারলাম না।যদিও শেষপর্যন্ত অনলাইনে ফোঁটা ও উপহার পেয়েছি।’