এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেলেঙ্গানা,০৩ ফেব্রুয়ারী : পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দুই বোনের মধ্যে কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল । কিন্তু সেই বিবাদ যে প্রাণঘাতী হতে পারে তা কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি । দুই বোনের বচসার মাঝে হঠাৎ দিদির গায়ে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বোন । তারপর গোটা শরীর যখন দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করলে সেই সময় বোনকে জড়িয়ে ধরেন দিদি । স্থানীয়রা গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় দুই বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিদির মৃত্যু হয় । বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মেডক (medak) জেলার ওয়াদিয়ারাম(Wadiyaram) গ্রামে । ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,মৃতার নাম ভারলক্ষ্মী(৩৬) । তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি ওয়াদিয়ারাম গ্রামে থাকতেন । কয়েক বছর আগে তাঁর স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যান । ভারলক্ষ্মীর বোন রাজেশ্বরীও ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর বাপের বাড়িতে রয়েছেন । দুই বোনের মধ্যে পৈতৃক পাঁচ একর সম্পত্তির বন্টন নিয়ে প্রায়ই অশান্তি বাধতো । সোমবার রাতে তা চরম আকার ধারন করে ।
জানা গেছে, ওই দিন দুই বোনের মধ্যে এনিয়ে তুমুল বচসা শুরু হয় । এদিকে দিদিকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে সঙ্গে করে লুকিয়ে একটি প্লাস্টিকের বোতল ভর্তি পেট্রল ও দেশলাই নিয়ে এসেছিল ছোট বোন রাজেশ্বরী । বচসার মাঝেই তিনি আচমকা দিদি ভারলক্ষ্মীর গায়ে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন । ভারলক্ষ্মী জলন্ত অবস্থায় ছুটে গিয়ে রাজেশ্বরীকে ধরে ফেলেন । রাজেশ্বরী তখন ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন । এদিকে দুই বোনের আর্ত চিৎকার ও বাড়ি থেকে আগুনের শিখা উঠতে দেখে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন । তারা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন । কিন্তু তার আগেই সম্পূর্ণ দগ্ধ হয়ে যান ভারলক্ষ্মী ।রাজেশ্বরী শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায় । দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়ভারলক্ষ্মীর ।।