এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৭ আগস্ট : কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সংস্কার করতে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর শুরু করেছে । ভোটার তালিকায় কারচুপি করা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের দু’জন করে ৪ ইআরও (নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক) এবং এইআরওকে সাসপেন্ড করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন । শুধু তাইই নয়, অপরাধমূলক কার্যকলাপের’ জন্য তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এফআইআর করার নির্দেশও দিয়েছে । তাদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর পূর্বের দুই ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। তাঁদের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার ভাইপো সমানে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ইআরওদের যাতে একটা নামও তালিকা থেকে বাদ যায় । এখন এই দোটানার মধ্যে পড়ে রাজ্যের ডব্লিউবিসিএসরা চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন । ইতিমধ্যেই রাজ্যের ডব্লিউবিসিএস অ্যাসোশিয়েসন মুখ্যসচিবের দ্বারস্থ হয়ে সাসপেন্সন রুখতে কমিশনের কাছে তদ্বির করা আবেদন জানিয়েছে । এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডব্লিউবিসিএস কর্মকর্তাদের কাছে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ আবেদন’ করে বলেছেন, ‘মমতা ব্যানার্জির কুমিরের কান্নায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না ।
তিনি সেই আবেদনপত্রটি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন,’আমি পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (ডব্লিউবিসিএস) কর্মকর্তাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবেদন করেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুমিরের কান্নায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ইসিআই-নির্দেশিত এফআইআর নথিভুক্ত করতে তার অস্বীকৃতি পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের রক্ষা করার জন্য নয়, বরং আই-প্যাক এবং এর সহযোগীদের রক্ষা করার জন্য, যারা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করেছে। বছরের পর বছর ধরে, তারা বৈজ্ঞানিক কারচুপি, কাল্পনিক ভোটার তালিকাভুক্তি, হিন্দু ভোটারদের নাম মুছে ফেলা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের; বাংলাদেশি মুসলিমদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করার ক্ষেত্রে নিখুঁত ভূমিকা পালন করেছে । পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের স্বার্থে, ডব্লিউবিসিএস কর্মকর্তাদের তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের সময় এসেছে।’
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর লেটার প্যাডে আবেদনে লিখেছেন,’বছরের পর বছর ধরে অবহেলা এবং আপনাদের সিনিয়রদের চাপের কারণে আপনাদের সকলকে নিজেদের আইনগত দায়িত্ব পালনে আপস করতে হয়েছে, যা প্রতীক জৈন এবং তার সহযোগীরা দখল করে নিয়েছে, যারা মমতা এবং তার ভাইপোর অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ থেকে মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছে। আমাদের প্রিয় রাজ্য এবং আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতের স্বার্থে, আপনাদের সাংবিধানিক কর্তব্য পালনের জন্য আপনাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা করার সময় এসেছে। মমতা তার মন্ত্রী, বিধায়ক এবং দলীয় কর্মীদের ত্যাগ করেছেন যারা কারাগারে আছেন এবং কেবল নিজেকে এবং তার ভাইপোকে রক্ষা করার চেষ্টা করবেন, অন্য কাউকে নয়। তাই ভয় বা অনুগ্রহ ছাড়াই আপনাদের কর্তব্য পালন করুন এবং মা কালী আপনাদের মমতার হাত থেকে রক্ষা করবেন।’।

