এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১২ জানুয়ারী : বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-ক্লিনটন ও জর্জ সোরসপন্থী বলা হয় । ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে ইউনূস তার প্রবল সমালোচক ছিলেন । ফলে ট্রাম্পের আগমনে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন নীতি কি হয় এনিয়ে সন্দেহ আছে । কেউ কেউ মনে করছেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রচার চলছে যে ফেব্রুয়ারী মাসে ওয়াশিংটন ডিসি-তে হতে চলা “ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট” অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এ খবর ফলাও করে প্রাচারও করা হচ্ছে । যদিও এই খবর সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের ইংরাজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ব্লিটজের সম্পাদক সালহা উদ্দিন সোয়েব চৌধুরী ।
তিনি এই বিষয়ে এক্স-এ লিখেছেন,’ডোনাল্ড ট্রাম্প বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানোর মিথ্যা খবর। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর মিডিয়া সেল একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে যেখানে দাবি করা হয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিএনপির নেতা তারেক রহমান এবং অন্যান্যদের জাতীয় প্রার্থনার প্রাতঃরাশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাস্তবে, এটি ওয়াশিংটন, ডিসি-তে একটি বার্ষিক ইভেন্ট যার লক্ষ্য নেতাদের একসাথে প্রার্থনা করার জন্য এবং সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য। ফেব্রুয়ারির প্রথম বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রার্থনা প্রাতঃরাশ অনুষ্ঠিত হয়। এটি দ্য ফ্যামিলি, একটি ধর্মীয় অধিকার সংস্থা দ্বারা স্পনসর এবং একটি দ্বিদলীয় কমিটি দ্বারা হোস্ট করা হয়েছে। প্রত্যেক বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাদের মেয়াদে অন্তত একবার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অর্থ, এই ইভেন্টটি রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি (দ্বিদলীয়) দ্বারা হোস্ট করা হয় এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি দ্বারা হোস্ট করা হয় না। ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে ঘনিষ্ঠতা এবং জন ড্যানিলোইচ সহ এর অর্থপ্রদানকারী এজেন্টদের ক্রমাগত তদবিরের কারণে বিএনপি এই আমন্ত্রণ পেয়ে থাকতে পারে।’
যদিও বাংলাদেশের মিডিয়া আউটলেট দৈনিক জনকন্ঠ আজ এই বিষয়ে একটা প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত “ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট” অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব ইতোমধ্যে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন। দলের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান শনিবার গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন, যেখানে বিশ্বের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন।’।