এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ ডিসেম্বর : রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত । ওই ভিডিওতে ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়, ‘ইনশাল্লাতালা,এমন একদিন আসবে যে বাংলার অর্ধেক মানুষ উর্দুতে কথা বলবে এবং উর্দুতেই কবিতা লিখবে ও পড়বে ৷’ ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিমকের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । এবারে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
সর্বভারতীয় বিজেপির আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য । তিনি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ওই মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে শেয়ার করে লিখেছেন,ডিএমকের পরে, একটি I.N.D.I জোট সদস্য, সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে । সিনিয়র টিএমসি নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অতীতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা অধিষ্ঠিত এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন, একটি অবিকৃত ভিডিওতে দাবি করেছেন যে শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গের ৫০ শতাংশ মানুষ উর্দুতে কথা বলবে। বাংলা গর্বের কি হলো? কেউ কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করবে,তিনি কি এই বিশ্বদর্শন সমর্থন করেন? এটাই কি টিএমসির এজেন্ডা ? এটাও কি I.N.D.I জোটের এজেন্ডা ? কংগ্রেস ও সোনিয়া গান্ধীকেও স্পষ্ট করতে হবে ।’
এদিকে অমিত মালব্যের ওই পোস্টটি রিপোস্ট করে তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘প্রথমত ভিডিওটি তিন বছরের বেশি পুরনো । বিজেপির হেড প্রোপোগান্ডা মাস্টার কেন এটা নিয়ে এসেছেন, আপনি অনুমান করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, এখানে মাননীয় ফিরহাদ হাকিম উর্দু সায়েরির কথা বলছেন। আমি তাকে সম্পূর্ণ ভিডিও পোস্ট করার জন্য চ্যালেঞ্জ করছি। আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলজিও শায়েরি শোনাতেন। তৃতীয়ত, উর্দু কোন ধর্মের ভাষা নয়। এটি অনেকটা ভারতীয়, হিন্দি বা বাংলার মতো । আসছে নির্বাচন। বিজেপির “নকল কারখানা” দিনরাত কাজ করছে জাল আখ্যান তৈরি করতে। কিন্তু আমি দুঃখিত, এটা কাজ করবে না ৷’
প্রসঙ্গত,বাংলাভাষার ‘অস্তিত্ব রক্ষায়’র নামে ‘আন্দোলন করা ‘বাংলা পক্ষ’ নামে একটি সংগঠনকে ইতিপূর্বে বহুবার খবরের শিরোনামে আসতে দেখা গেছে । রাজ্যের ব্যাঙ্ক,সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের হিন্দিভাষী কর্মীদের বাংলায় কথা বলার জন্য চাপ দিতেও দেখা গেছে সংগঠনের কর্মকর্তাদের । কিন্তু মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ‘উর্দু’ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সংগঠনের তরফে এযাবৎ কোনো প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যায়নি । বাংলা ভাষার কথিত ‘রক্ষক’ ‘বাংলা পক্ষ’ সংগঠনের মানসিকতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে বহু মানুষ এখন প্রশ্ন তুলছেন ।।