প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৮ নভেম্বর : প্রসব যন্ত্রনায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে প্রসুতি কাতরাতে থাকলেও ফিরে তাকান নি ডাক্তার ও নার্সরা।প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁরা শুধু প্রসুতির বেডের পাসে থাকা চেয়ারে বসে মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।এই অবস্থার মধ্যেই প্রসুতি হাসপাতালের বেডে সন্তান প্রসব করে ফেলার সাথে সাথেই তাঁর সদ্য ভূমিষ্ট শিশু সন্তান বেড থেকে গড়িয়ে পড়ে যায় ওয়ার্ডের মঝেতে । তার পর হুঁশ ফেরে ডাক্তার ও নার্সেদের । সদ্য ভূমিষ্ট শিশুটির শরীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ায় শিশুটিকে এখন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছে । চিকিৎসা গাফিলতির এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে।সোমবার বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করে প্রসুতি আমিনা সেখ ঘটনার দিন প্রসুতি ওয়ার্ডে থাকা ডাক্তার ও নার্সদের শাস্তির দাবি করেছন। এই ঘটনায় ফের কাঠগড়ায় সরকারী হাসপাতাল।
বর্ধমান থানার পুলিশ কে প্রসুতি আমিনা সেখ জানিয়েছেন,তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার অর্জুন পুকুর এলাকায় । প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে গত ৬ নভেম্বর সকাল ৬ টা ২৫ মিনিট নাগাদ তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন।প্রসুতির অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় পর বেডে শুয়ে তিনি প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন ।ওই সময়ে প্রসুতি ওয়ার্ডে থাকা ডাক্তার ও নার্সরা তাঁর বেডের পাশে চেয়ারে বসে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।ডাকাডাকি করেও তাঁদের সাড়া পান না।এই অবস্থার মধ্যেই তিনি হাসপাতালের বেডে সন্তান প্রসব করে ফেলার সাথে সথে তাঁর সন্তান বেড থেকে গড়িয়ে ওয়ার্ডের মেঝেতে পড়ে যায়। এই ঘটনার পর হুঁশ ফেরে ওয়ার্ডে থাকা ডাক্তার ও নার্সদের ।
প্রসুতিআমিনা সেখ জানিয়েছেন,এমন ঘটনার কারণে তাঁর শিশু সন্তানের শারীরিক অবস্থা খরাপ হয়। তাঁর শিশু সন্তান এখন বর্ধমান হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি রয়েছে ।ঘটনার দিন প্রসুতি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। প্রসূতির মা চন্দনা খাতুন বলেন, জানি না আমার নাতির কি হবে।চিকিৎসক ও নার্সদের গাফিলতির জন্যই নাতির এমন অবস্থা হল বলে চন্দনা খাতুন অভিযোগ করেছেন । এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবে ।।