প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪অক্টোবর : সরকারি হাসপাতালে মিললো পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে তাজা কার্তুজ সহ মাওবাদী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির চিঠি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই
মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক অর্পণা মুখোপাধ্যায় ওই চিঠিটি পান । বুধবারের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা রয়েছে । এমন হুমকি চিঠি পেয়েই চিকিৎসক অপর্ণা মুখোপাধ্যায় ভাতার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
তিনি ঘটনা বিষয়ে থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
ভাতার হাসপাতালের দন্ত চিকিৎসক অর্পণা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতে যান। তখনই তিনি দেখেন দরজার সামনেই একটি চিঠি পড়ে আছে।চিঠি খুলে তিনি দেখেন,নিজেকে মাওবাদী পরিচয় দিয়ে তপন মাহাতো নামে কেই লাল কালি দিয়ে ওই চিঠিতে লিখেছেন বুধবার পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে।না হলে চিকিৎসকের গোটা পরিবারের প্রাণ সংশয়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে । টাকা ওই জায়গাতেই দিতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠির শেষাংশে প্রেরক হিসেবে তপন মাহাতর নাম লেখা আছে।চিঠিটি পেয়েই দন্ত চিকিৎসক প্রথমে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানান । পরে তিনি ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেব্ররম জানান,চিঠিটি দরজার নীচ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।দন্ত চিকিৎসক অর্পণা মুখোপাধ্যায় বহির্বিভাগে রুগী দেখার জন্য রুমে ঢুকতেই এই হুমকি চিঠিটি তার চোখে পড়ে। বিষয়টি ভাতার থানায় জানানো হয়েছে। বুধবার তিনি নিজে ভাতার হাসপাতালে যাবেন বলে জানান’। একই সঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন ,জেলাশাসক ও জেলার পুলিশ সুপারকেও আমি ঘটনা বিষয়টি জানিয়েছি“। এদিকে এই ঘটনার পর যথেষ্টই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভাতার হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, চিঠির সঙ্গে থাকা কার্তুজটি সক্রিয়।তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভয় দেখানোর জন্যই মাওবাদী নাম দিয়ে এরকম চিঠি ফেলে রাখা হয়ে থাকতে পারে। তবে চিঠিটি যাঁরাই ফেলুক তার সন্ধান পেতে পুলিশ জোরদার তৎপরতা শুরু করেছে।।