শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১১ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার কৃষাণ মান্ডির ধান ক্রয় কেন্দ্রে সারপ্রাইজ ভিজিটে এলেন জেলা শাসক আয়েশা রানী । কৃষকদের ধানের খাত বাদ দেওয়ার মেশিন পরিদর্শনের পাশাপাশি ধান বিক্রয় করতে আসা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি দুর্নীতি রুখতে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । বিগত দিনে কৃষকদের ধানের খাত বাদ দেওয়ার নিয়ে অভিযোগ উঠছিল । ইতিমধ্যে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন ধান ক্রয় কেন্দ্রে শুরু হয়েছে সরকারি মূল্যে খারিফ মরশুমের ধান কেনা হচ্ছে । কৃষকরা ঠিকঠাক সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারছেন কিনা তা সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা শাসক আয়েশা রানী।
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার কৃষি মান্ডির ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধানের খাত পরিমাপের মেশিন, সহ একাধিক বিষয় পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। কৃষকদের অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি। তবে জেলাশাসক সেভাবে কৃষকদের কাছে কোন অভিযোগ পাননি বলে জানা গেছে । কৃষকদের উৎপাদিত ধানের গুণমানের প্রশংসা করেন জেলা শাসক। তিনি বলেন,’ভাতারে যে সমস্ত কৃষকরা সরকারি মূল্যে ধান বিক্রয় করতে এসেছেন তাদের ধানের গুণগতমান খুবই ভালো। এক্ষেত্রে ধানের খাত বাদ দেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না।’ পাশাপাশি তিনি সিপিসিকে সতর্ক করেন খারাপ ধানের অজুহাত দেখিয়ে কৃষকদের ধানের খাত বাদ দেওয়া যাবে না। ভাতারের আলিনগরের কৃষক বাদশা মোহাম্মদ সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার উদ্যোগকে প্রশংসা করলেও মিল মালিকদের ইচ্ছামতো বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি খাত বাদ দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে ভাতারের ভূমসোর এলাকার কৃষক মনিরুল হক জানান, ভাতার কৃষাণ মান্ডিতে ঠিকঠাক ভাবেই ধান ক্রয় হচ্ছে । সরকারি কর্মী বা মিল মালিকদের নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। সরকারি মূল্যে ধান বিক্রয় করতে পেরে খুশি তারা। তিনি আরও জানান,সরকারি ভাবে ধান বিক্রয় করে অনেকটাই লাভের মুখ দেখছেন তারা। খোলা বাজারের থেকে সরকারি মূল্যে ধানের দাম অনেকটাই বেশি। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন তিনি।।