জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমান,১৮ ফেব্রুয়ারী :আন্তর্জাতিক আর্থিক স্থিতিশীলতা উন্নয়ন সম্পর্কিত নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে বিশ্বের ২০ টি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের নিয়ে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংগঠন ‘জি-২০’। ভারত, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, রাশিয়া, কানাডা, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ পৃথিবীর কুড়িটি দেশ হলো এই গোষ্ঠীর সদস্য।
প্রতি বছর এক একটি দেশের সভাপতিত্বে এই গোষ্ঠীর সম্মেলন বসে। দায়িত্ব এক বছরের জন্য। ২০২২ সালের ১ লা ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পাচ্ছে ভারত। দেশের ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে সম্মেলনের থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। দেশের ৫৫ টি জায়গায় এক বছর ধরে দুই শতাধিক বৈঠক হবে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হবে শীর্ষ সম্মেলন। বৈঠকগুলিতে উপস্থিত থাকবেন সদস্য দেশগুলির মন্ত্রী ও আধিকারিকরা। বৈঠকে দেশের শিল্প-বাণিজ্য, শক্তি-নিরাপত্তা, অর্থনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থের দিকে নিশ্চিতরূপে নজর দেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই দেশ জুড়ে সাজ সাজ রব।
সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) পূর্ব বর্ধমানের নেহেরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে ও কেতুগ্রাম-১ নং ব্লকের কুলাই নিউ অগ্ৰগামী সংঘের পরিচালনায় এক দিবসীয় ‘জেলাস্তরীয় নেবারহুড ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৩’ এর আয়োজন করা হয়। পার্লামেন্টের বিষয় ছিল জি-২০ সম্মেলন- এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত।
এছাড়াও সম্মেলনে বিভিন্ন সরকারী যোজনা, শিশু ও নারীসুরক্ষা, পরিবেশ সচেতনতা, রোজগার সৃজন প্রভৃতি বিষয়ে গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং নেহরু যুব কেন্দ্রর কার্যক্রম ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব india@2047’ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুই সহস্রাধিক যুবক-যুবতী এই পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করে। অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য সন্ধ্যার সময় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে সম্মেলনের শুভ সূচনা করেন কাঁদরা কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায়। সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন তরুণ মুখার্জ্জী, উদয়চাঁদ চৌধুরী, সুদীপ মন্ডল, ব্রজদুলাল মাঝি, প্রীতম মুখার্জী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
উপস্থিত যুবক-যুবতীদের সম্বোধন করতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নেহেরু যুব কেন্দ্রের এই মহৎ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান এবং ভারতের ‘বসুদেব কুটুম্বকম’ বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন । স্বাগত ভাষণ দিতে গিয়ে সরাসরি বিষয়ে প্রবেশ করেন পূর্ব বর্ধমান নেহেরু যুব কেন্দ্রের এপিএ সুজন ঠাকুর। তিনি সবিস্তারে এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য উপস্থিত অতিথি ও যুবক-যুবতীদের সামনে তুলে ধরেন। নেহেরু যুব কেন্দ্রের পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব আধিকারিক উত্তরা বিশ্বাস বলেন,ভারতে আয়োজিত আসন্ন জি-২০ সম্মেলনের বার্তা ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’- এর বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের নেহেরু যুব কেন্দ্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব খুব ভালভাবেই পালন করে চলেছে। এই ক্ষেত্রে দুই আধিকারিকের ভূমিকা প্রশংসনীয়।।