এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ, ১৩ সেপ্টেম্বর : পাকিস্থানের বন্যা দূর্গত হিন্দুদের সঙ্গে সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে দিয়েছে । এমই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সিন্ধু প্রদেশের মিরপুর মাথেলো এলাকা থেকে । শুধু মাত্র হিন্দু হওয়ার অপরাধে ত্রাণ শিবির থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ভাগরি সম্প্রদায়ের লোকজনদের । ফলে আশ্রয়হীন ওই হিন্দুরা খাদ্য,পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে । তাঁদের এই দূর্দশার খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন নাসরাল্লাহ গাদ্দানি (Nasrallah Gaddani) নামে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক । আর সেই অপরাধেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । সাংবাদিককে আদালতে তুলে পুলিশ ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে । প্রাকৃতিক দূর্যোগের মাঝেও পাকিস্থান সরকারের এহেন ঘৃণ্য আচরণে নিন্দায় সরব হয়েছে বহু মানুষ ।
তবে গ্রেফতারির আগে সাংবাদিক নাসরাল্লাহ গাদ্দানির রেকর্ড করা একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । ওই ভিডিওতে হিন্দু ভাগরি সম্প্রদায়ের সদস্যদের তাদের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি তাদের আচরণ বর্ণনা করতে দেখা যায় । একজনকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে দেখা যায়, ‘হিন্দু হওয়ার কারণে আমাদের ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের খাবার এমনকি জল দিতে অস্বীকার করেছে। তারা মনে করে আমরা বন্যার শিকার নই। আমরা এখন কোথায় যাব? আমাদের সন্তানদের কীভাবে বেঁচে থাকবে ? আমরা দরিদ্র এবং বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছি। আর স্থানীয় প্রশাসন বলছে আমরা বন্যার্ত নই। আমাদের সাথে ছোট বাচ্চা আছে।’ ভিডিওতে আরেক ভুক্তভোগী বলেছেন, ‘আমরা এখন কোথায় যাব? খাদ্য ও জল ছাড়া আমরা কীভাবে বাঁচব?’
প্রসঙ্গত,পাকিস্তানে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা ৮০ টি জেলার প্রায় ৩৩ লক্ষ মানুষ প্রভাবিত হয়েছে । এক হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে । তার মধ্যে সিন্ধু প্রদেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৬২১ জন । গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে । আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও পাকিস্থানের প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয় হিন্দুদের ।।