সঞ্জয় মণ্ডল,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),৩০ মার্চ : আজ শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ । ভাতার ঢোকার আগে তিনি কালীমন্দিরে পূজো দেন । ভাতারি আসার পরেও শতাব্দী প্রাচীন সোৎখালীর কালীমন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি । দেবীকে প্রণাম জানিয়ে প্রার্থনা করতেও দেখা যায় তাঁকে । দেবীর কাছে তিনি কি প্রার্থনা করলেন তাও তিনি সাংবাদিকদের সামনে খোলসা করেন বিজেপি প্রার্থী । দিলীপবাবু বলেন,রাজ্যের শাসক দলের সুবুদ্ধি হোক এটাই আমি প্রার্থনা করেছি৷ পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের জন্য সুস্থতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেছি৷’
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরের দিন থেকে প্রচারে ঝাঁপি পড়েন দিলীপ ঘোষ । তবে এই প্রথম ভাতারে এলেন তিনি । বর্ধমান থেকে ভাতার আসার পথে প্রথমেই তিনি কামনারার গৌড়ের কালিবাড়িতে মা কালীর পূজা দেন । এরপর তিনি সরাসরি ভাতার চলে আসেন সেখানে সোৎখালী কালী মন্দিরে পূজা দেন । তারপর তিনি ভাতার বাজারের একটি বিয়ে বাড়িতে আয়োজিত ভাতাড় ৪ নম্বর মন্ডলের সাংগঠনিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন । বৈঠক শেষে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন দিলীপবাবু । এরপর তিনি ভাতার থেকে বলগোনার উদ্দ্যেশে রওনা হন,তারপর তিনি চলে যান এরুয়ার গ্রামে । ।সেখানে তিনি জনসংযোগ করেন পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে অংশগ্রহণ করেন । পরে তিনি আসেন কালিপাহাড়ি মঞ্জুলা গ্রামে । সেখানে তিনি জনসংযোগ এবং হরিনাম সংকীর্তনে অংশগ্রহণ করেন।
ভাতার বিধানসভার কর্মী বৈঠকে তিনি বলেন ভারতের প্রধামন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর প্রতিনিধি হিসেবে আমি এসেছি বর্ধমানের মানুষের পাশে থাকার জন্য,উন্নয়নের জন্য ।সন্দেশখালির ঘটনাকে ‘জঘন্য’ বলে নিন্দা করে তিনি প্রতিবাদী মহিলাদের স্যালুট জানান। দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলকে যারা এনেছে তারাই বিদায় করবে।পাশাপাশি আরও বলেন তৃণমূল সরকারের পতনের পর পশ্চিমবাংলায় যাতে শান্তি ফিরে আসে,সুশাসন ফিরে আসে সেটা দেখবে ভারতীয় জনতা পার্টি । কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হবে সেই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোথায় মোতায়েন করা হবে সেটা আমরা ঠিক করি না,আমরা শুধু ভোটটা শান্তিপূর্ন ভাবে করাই।বর্ধমানের প্রশংসা করে তিনি বলেন বর্ধমান শান্তির জায়গা,সমৃদ্ধির জায়গা ।।