দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১১ এপ্রিল : দুর্নীতিবাজদের পেট থেকে টাকা বের করে গরিবদের ফেরানো হবে বলে জানালেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আজ বৃহস্পতিবার ভোটের প্রচারে ভাতারে আছেন তিনি । ভাতার বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা তিনি ঘুরে মন্দিরে পূজো দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচার সারেন । ভাতারের ঝর্ণা বাসস্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত ভাষণে দিলীপবাবু বলেন, ‘আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, চন্দ্রযান তৈরি করেছে, বুলেট ট্রেন করতে পারিনি বলে জাপান থেকে আনছে, কিন্তু নিজেদের তৈরি বন্দেভারত আমরা চালাচ্ছি । সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়িতে রেশনে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদি থাকলে গরীব মানুষেরই সুবিধা হবে । পশ্চিমবাংলায় কিছু জিনিস আমরা পাইনি । টাকা এসেছে কিন্তু অন্য কোথাও চলে গেছে । কোথায় গেছে আপনারা জানেন । কিন্তু যেখানে গেছে তাদের ধরে ইডি জেলা পাঠাচ্ছে, এটাও চলবে । গরিব মানুষের অধিকার লুট করলে টাকা লুট করলে তার পেট থেকে বের করে গরীব মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে জেলে পাঠানো হবে,এটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ।’
দিলীপবাবু বলেন,’৭০ বছর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে গ্রাম বাংলার গরীব মানুষের কথা কেউ বলেনি। গ্রামের মানুষের বাড়ি,শৌচালয় আছে কিনা,ছেলে মেয়ের পড়াশোনা করাতে পারি কিনা, ওষুধ কিনতে পারে কিনা, চাষীরা ঠিক সময় চাষ করতে পারছে কিনা, চাষিরা ফসলের দাম পাচ্ছে কিনা কেউ খোঁজ রাখেনি । মোদীজি যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন ধানের বস্তা পিছু সাড়ে ১,২০০ টাকা এমএসপি ছিল। এখন ২০৯০ টাকায় ধান বিক্রি হচ্ছে । আপনারা পেয়েছেন কিনা? মোদী হায় তো মুমকিন হ্যায় ।’
তাঁরা অভিযোগ,’পশ্চিমবাংলায় এখনো বস্তা পিছু ছয় কিলো করে কাট মানে নেওয়া হয় । এর পরিবর্তন হবে । মোদী থাকলে কলেজ ইউনিভারসিটি, কর্মসংস্থান হবে । তাই আগে যেমন মোদীজীর সঙ্গে ছিলেন এবারেও মোদীজীর হাতকে আরো বেশি শক্ত করুন। যাতে উনি নির্দ্বিধায় কাজ করতে পারেন । পাকিস্তানকে উনি ঠান্ডা করে দিয়েছেন । চিনও ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে । ভারতের বিরুদ্ধে যে লাগবে ঠান্ডা হয়ে যাবে । আর বিজেপির বিরুদ্ধে লাগলেও ঠান্ডা হয়ে যাবে । এজন্য আর একবার মোদি সরকার, এইবার ৪০০ পার।’
এ নিয়ে তৃতীয়বার ভাতারের নির্বাচনী প্রচারে এলেন দিলীপ ঘোষ । আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রথমে তিনি মাহাতা অঞ্চলের ঝর্ণা গ্রামে আসেন। ঝর্ণা বাসস্ট্যান্ডে শনি মন্দিরে দিলীপবাবুর জন্য বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। দিলীপবাবু নিজে গ্রহরাজের উদ্দেশ্যে পদ্মফুল নিবেদন করেন ৷ ঝর্ণা বাসস্ট্যান্ড থেকে তিনি বামুনাড়া এলাকায় আসেন। কানপুর গ্রামে খাওয়া দাওয়া সেরে বিকেলে মাহাচান্দা অঞ্চলের বাসুদা, খুড়ুল, কুরুম্বা গ্রামে প্রচার সারেন ।এরপর ভাতারের নতুনগ্রামে চা চক্রে অংশ নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান । সেখান থেকে কুলনগর গ্রামে গাজন উৎসবে সন্নাসীদের সঙ্গে আলাপচারিতার পর আজকের মত প্রচার শেষ করেন দিলীপ ঘোষ। তবে ভাতারে আসার আগে বর্ধমানের তালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জলসত্রের শিবিরে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁকে ।।