এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৫ ফেব্রুয়ারী : মাদ্রাসায় বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ফের বিঁধলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ ।তার অভিযোগ,২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে একাধিক সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ কমালো তৃণমূল সরকার ।ওদিকে শিল্পে বিনিয়োগ কমে, বাড়ছে মাদ্রাসার সংখ্যা …পশ্চিমবঙ্গবাসীকে পরিযায়ী শ্রমিক করে বাংলা ছাড়া করাই মমতা ব্যানার্জির “বিফল সরকারের” মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাফের সাহায্যে বিগত ও বর্তমান অর্থবছরে স্বাস্থ্যসাথী,সবুজ সাথী,কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রভৃতি একাধিক সামাজিক প্রকল্পের বরাদ্দ কত কমানো হয়েছে তা স্পষ্ট করেছেন দিলীপবাবু । তাতে তিনি উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ২৭৬৫ কোটি টাকা কিন্তু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিয়ে করা হয়েছে ১৮৫৮ কোটি। সবুজ সাথী প্রকল্পে ৫১৪ কোটি থেকে ৪৯৩ কোটি করা হয়েছে । কন্যাশ্রী প্রকল্পে ১৩৭৪ কোটি থেকে ৮০৩ কোটি করা হয়েছে । আর রূপশ্রীতে ৭০৪ কোটি থেকে কমিয়ে ৬৫৮ কোটি টাকা করা হয়েছে ।
এর আগে মাদ্রাসার বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তুলোধুনো করেন দিলীপ ঘোষ । তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর বাজেট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শিল্প, কর্মসংস্থান, রাজ্যের উন্নতি করে পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার থেকে রাজ্যের কোণায় কোণায় মাদ্রাসা খুলে, মৌলবাদীদের হাত শক্ত করে পশ্চিমবঙ্গকে, পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিতে চাইছেন।’ তিনি আরও লেছেন,’এবারের বাজেটে মাদ্রাসা এবং সংখ্যালঘু উন্নয়নে বরাদ্দ, শিল্প খাতে বরাদ্দের তুলনায় চারগুণ বেশি। কাজেই জেলায় জেলায় শিল্প নয়, বেশি করে গড়ে উঠবে মাদ্রাসা। তাঁর বাজেটে এবারেও বৈমাতৃ সুলভ আচরণ উত্তরবঙ্গের প্রতি। উত্তরবঙ্গের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৮০০ কোটি টাকা! যা সংখ্যালঘু উন্নয়নে বরাদ্দের ৮ গুণ কম।’
প্রসঙ্গত,মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার তৃতীয় দফার শেষ বাজেট পেশ করেছেন গত বুধবার । এই বাজেটে তিনি এরাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকে দুহাত ঢেলে দিয়েছেন । বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্য সরকারের লিখিত বয়ানে জানান যে আরও অন্তত ৬০০ টি নতুন মাদ্রাসা তৈরি করা হবে এরাজ্যে । পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন, বাজেটে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের জন্য ৫,৬০,২২৯ টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করেন ।।