দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৭ অক্টোবর : শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির মাঝেই পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে একটি বড়সড় অনিয়মের হদিশ মিলল । ৫৯ বছর বয়স্কা বোনের জায়গায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকতা করছিলেন বৃদ্ধা দিদি । প্রায় ৭০ বছর বয়স্কা ওই মহিলা দীর্ঘ প্রায় বোনের জায়গায় চাকরি করে আসছিলেন । পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের সাহেবগঞ্জ-১ পঞ্চায়েতের নুনাডাঙ্গা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের এই প্রকার বড়সড় অনিয়ম ধরা পড়ার পর ব্যাপক শোড়গোল পড়ে গেছে এলাকায় । আজ মঙ্গলবার অভিযুক্ত ‘দিদি’ সঙ্গীতা ভট্টাচার্য বিডিও অফিসে ডেকে পাঠানো হয় । তিনি বিডিও অফিসে এসেছিলেন । কিন্তু বিডিওর মুখোমুখি হওয়ার আগেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় কয়েকজন তাকে আটকে দেয় । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ।
জানা গেছে,ভাতার ব্লকের সাহেবগঞ্জ-১ পঞ্চায়েতের নুনাডাঙ্গা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে কাগজেকলমে শিক্ষিকা হলেন কাশীপুর গ্রামের য়সঙ্গীতা ভট্টাচার্যের বোন সুজাতা চট্টোপাধ্যায় । ২০০৪ সালে সুজাতাদেবীকে ওই কেন্দ্রে নিয়োগ করা হয় । কিন্তু সুজাতাদেবীর পরিবর্তে তাঁর দিদি সঙ্গীতা ভট্টাচার্য শিক্ষকতা করে আসছিলেন । বেতন তুলে আসছিলেন সঙ্গীতা ভট্টাচার্য ।
ভাতারের বিডিও অরুন কুমার বিশ্বাস বলেন, অনলাইনে অফিসিয়াল কাজকর্মে আপগ্রেডেশনের সময় সাহেবগঞ্জ-১ অঞ্চলের ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের অসঙ্গতি ধরা পড়ে । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে কাগজে কলমে যার নাম রয়েছে, তাঁর পরিবর্তে অন্য কেউ চাকরি করছিলেন । আপাতত তাঁকে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিষয়টি আরও একবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে । প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে।’
ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বাসুদেব যশের কথায়,’সিপিএম আমলেও এই ধরনের অনিয়ম হয়েছে । আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি ।’।