অনেকেরই অজানা যে নেহেরু পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন কিন্তু তিনি কোনো বিপ্লবীর পক্ষে মামলা লড়েননি… এটি সেই সময়ের কথা যখন মহারাজা হরি সিং ১৯৩৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু শেখ আবদুল্লাহ এর বিরুদ্ধে ছিলেন, কারণ শেখ আবদুল্লাহ ছিলেন মহারাজা হরি সিংয়ের প্রধানমন্ত্রী, আর কাশ্মীরের নিয়ম ছিল যে যিনি প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন তিনিই হবেন পরবর্তী রাজা । কিন্তু মহারাজা হরি সিং তার প্রধানমন্ত্রীর কু-মতলব সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত ছিলেন, তাই কাশ্মীরের জনগণের কল্যাণে তিনি ১৯৩৭ সালে সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন । এদিকে শেখ আবদুল্লাহ বিদ্রোহ করেন এবং সৈন্যদের উস্কানি দিতে শুরু করেন । কিন্তু রাজা হরি সিং সময়মতো সেই বিদ্রোহকে চূর্ণ করেন এবং শেখ আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জেলে পাঠান ।
শেখ আবদুল্লাহ ও জওহরলাল নেহেরুর গলায় গলায় বন্ধুত্ব ছিল । সেই গভীর সম্পর্কের কারনে শেখ আবদুল্লাহর মামলা লড়তে জওহরলাল নেহরু কাশ্মীরে পৌঁছে যান ৷ তিনি অনুমতি ছাড়াই রাজা হরি সিং পরিচালিত মন্ত্রিসভায় প্রবেশ করেন । মহারাজা হরি সিং তার কাছে জানতে চাইলে নেহরু বলেছিলেন যে আমিই ভবিষ্যত ভারতের প্রধানমন্ত্রী । উত্তরে রাজা হরি সিং বলেছিলেন, আপনি যেই হোন না কেন আমার অনুমতি ছাড়া এখানে আসতে পারবেন না, এখান থেকে চলে গেলেই আপনার পক্ষে ভালো হবে।
রাজা হরি সিংয়ের কথায় নেহরু কান না দিলে রাজা হরি সিং রেগে গিয়ে আদালতে নেহরুকে সপাটে চড় মেরে বললেন, এটা তোমার কংগ্রেস বা ব্রিটিশ রাজ নয়, যে তুমি যা চাইবে তাই হবে। তুমি ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হতে পারো কিন্তু আমি বর্তমান রাজা এবং একই সাথে আমি আমার সৈন্যদের বলেছি যে তোমাদের কাশ্মীরের সীমান্ত থেকে বের করে দিতে।
কথিত আছে যে তখন নেহেরু দিল্লিতে এসে শপথ নিয়েছিলেন যে তিনি শেখ আবদুল্লাহকে একদিনের জন্য হলেও কাশ্মীরের সর্বোচ্চ পদে রাখবেন,তাই বলা হয় কাশ্মীর ছাড়া বাকি সব রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সর্দার প্যাটেলকে এবং কাশ্মীরের দায়িত্ব জওহরলাল নেহেরু নিজের হাতেই রেখেছিলেন ।
সর্দার প্যাটেল সমস্ত রাজ্যকে একীভূত করেছিলেন কিন্তু একটি চড়ের অপমানের জন্য, নেহেরু ভারতের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন এবং শেখ আবদুল্লাহকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন,১৯৫৫ সালে যখন সেখানে বিধানসভা তার প্রস্তাব পাস করে এবং জওহরলাল নেহরুর কাছে একটি চিঠি জমা দেয় যে আমি সমস্ত শর্ত মেনে ভারতে বাস করব । যখন স্থানীয় বাসিন্দারা কাশ্মীরকে ভারতের সাথে একীভূত করতে চেয়েছিল, তখন জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন – না, কাশ্মীরকে ভারতের সাথে সম্পূর্ণরূপে একীভূত করার শর্ত এখনও তৈরি হয়নি। এইভাবে, সেই চিঠি প্রধানমন্ত্রী নেহেরু প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং তার ফল ভারতকে আজও ভোগ করতে হচ্ছে..!
প্রতিবেদনটি উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার বিজেপির যুবমোর্চার অধ্যক্ষ সূর্য মিশ্রের টুইটের বাংলা অনুবাদ । যদিও তিনি লিখেছেন,এটি চন্দ্রমোহন আগরওয়ালের পোস্ট। এটি আমার দ্বারা লেখা নয়, এবং এটি সত্য প্রমাণ করার জন্য আমার কাছে কোন রেফারেন্স বা লিঙ্ক নেই। এরকম একটি ঘটনা ১৯৬২ সালে ঘটেছিল যখন একজন সেনা কর্মকর্তা তাকে চড় মেরেছিলেন বলে জানা গেছে।
তিনি আরও লিখেছেন,দেশের ইতিহাসে হাজারো সত্য লুকিয়ে আছে, হয়তো এটিও তার একটি হতে পারে। ইতিহাসের বাকি অংশের সত্য বা মিথ্যা সিদ্ধান্ত নেওয়া কেবল সময় ভ্রমণের মাধ্যমেই সম্ভব কারণ আমরা যাকেই সত্য বলে মনে করি তা অবশ্যই কেউ না কেউ লিখেছে।।