এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৮ নভেম্বর : ইরান সমর্থিত ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে বিশ্বের অমুসলিম দেশগুলির মধ্যে তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে । দেশগুলির তথাকথিত সেকুলার ও বামপন্থীরা ছাড়া সিংহভাগ মানুষ চাইছেন যে চিরতরে নির্মুল করে দেওয়া হোক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসকে । আর এই ঘৃণার পিছনে রয়েছে হামাসের বর্বরোচিত আচরণ ও নৃশংসতা । ট্রাম্প প্রশাসনে থাকা মার্কিন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও (Mike Pompeo) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বড় বড় অক্ষরে লিখেছেন,’যুদ্ধবিরতি নয়, হামাসকে ধ্বংস করুন (No ceasefire. Destroy Hamas.)।’
তবে শুধু অমুসলিম রাষ্ট্রই নয়,ইরান ও কাতারের মদতপুষ্ট হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে আদপেই সন্তুষ্ট নয় ইসলামি রাষ্ট্র সৌদি আরব । ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে ইসরায়েলকে প্রচ্ছন্ন মদত যুগিয়েও যাচ্ছে সৌদি আরব । এবারে দেশটি ফিলিস্তিন সমর্থকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিয়েছে । জানা গেছে যে হামাসের প্রতি সমর্থন দেখানো এবং ফিলিস্তিনের জন্য মক্কা ও মদিনাতে প্রার্থনা করার দায়ে বেশ কয়েকজন কট্টরপন্থীকে গ্রেফতার করেছে সৌদি আরবের সেনাবাহিনী । ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ অভিনেতা এবং উপস্থাপক ইসলাহ আবদুর-রহমান (Islah Abdur-Rahman)ও তার পরিবারও । সম্প্রতি ওই ব্রিটিশ নাগরিক পরিবারের সাথে মক্কায় ধর্মীয় তীর্থযাত্রায় গিয়েছিলেন ।
এদিকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ৪২ তম দিনের পর আরও ভয়ঙ্কর বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স(আইডিএফ) । গাজা উপত্যকায় আইডিএফের ভারী গোলাগুলি সেডরোট এবং আশেপাশের এলাকায় অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে । পাশাপাশি আইডিএফ উত্তর গাজা উপত্যকায় অভিযান সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং গাজা উপত্যকায় বন্দী সকল ইসরায়েলি মা ও শিশুদের মুক্তির উপর জোর দিয়েছে । আইডিএফ মুখপাত্র বলেছেন, ‘হামাস যেখানেই থাকবে আমরা সেখানেই হামলা করব এবং তারা এখন গাজা স্ট্রিপের দক্ষিণেও রয়েছে ।’
এদিকে অপহৃতদের মুক্তির দাবির অংশ হিসাবে হামাস ইসরায়েলকে গাজার উপর নজরদারি ড্রোন উড্ডয়ন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। সূত্র সিএনএনকে বলেছে যে ইসরাইল অনুরোধটি মেনে নেবে এমন সম্ভাবনা কম, কারণ এর অর্থ পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা হারানো এবং এতে হামাসকে হামলা চালানোর সূযোগ করে দেওয়া হবে ।
হামাসের পাশাপাশি ইরান সমর্থিত আরও এক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল্লাহের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করেছে আইডিএফ । ইসরায়েলের ফাইটার জেট এবং হেলিকপ্টার লেবাননের হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠনের সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আক্রমণ করেছে । যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- সাইট, সদর দপ্তর এবং সামরিক অবস্থান,যেখান থেকে সংগঠনের সন্ত্রাসীরা কাজ করত। এছাড়াও, আজকের আগে, মাউন্ট ডোভ অঞ্চলে একটি আইডিএফ পোস্টের দিকে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে একটি রকেট সনাক্ত করা হয়েছিল, যা একটি খোলা এলাকায় পড়েছিল, সেখানে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আইডিএফ বাহিনী রকেটের উৎসে আক্রমণ করেছিল ।।