এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৬ সেপ্টেম্বর : মালদা জেলার চাঁচলে নিরীহ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শুক্রবার চাঁচল থানার ওসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু । কিন্তু আইসির তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করলে শুক্রবার বিকাল থেকে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি সাংসদ । রাতে আইসির নির্দেশে থানার বাইরের সমস্ত আলো নিভিয়ে দেয় পুলিশ । তাতেও দমানো যায়নি খগেন মুর্মুকে । মোমবাতি জ্বালিয়ে ঠায় থানার সামনে বসে থাকেন তিনি । আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে গেছেন বিজেপি সাংসদ ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চাঁচল সদর এলাকায় বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মা এবং বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সুমিত সরকারের মধ্যে গন্ডগোল, মারপিটের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আহত হন, ‘দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। সেই ঘটনায় চাঁচল থানার পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের দাবি যে স্থানীয় বিজেপি দলের দুটি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে । মালদা জেলা পুলিশ এই বিষয়ে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছিল, ‘মালদার চাঁচলের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।২৮.০৮.২০২৫ তারিখে চাঁচল থানার অধীনস্থ একটি এলাকায় স্থানীয় বিজেপি দলের দুটি গোষ্ঠী—একদিকে সুমিত সরকার (বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী) এবং অন্যদিকে প্রসেনজিৎ শর্মা (বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য)—কিছু স্থানীয় প্রতিবেশীর সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় বচসায় জড়িয়ে পড়ে এবং একে অপরকে আক্রমণ করে।খবর পেয়ে মোটরসাইকেল টহলে থাকা সাধারণ পোশাকধারী পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে দুই পক্ষের মধ্যে নিজেই হস্তক্ষেপ করেন এবং বড় ধরনের ক্ষতি বা প্রাণহানি থেকে তাদের বাঁচান। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। কেউ অভিযোগ করতে না চাইলে পুলিশ নিজে থেকে মামলা শুরু করে এবং ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি রোধ করেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
যদিও এই ঘটনার পেছনে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মানতে নারাজ বিজেপির উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। তার অভিযোগ, পুলিশ গোটা ঘটনায় মিথ্যা কেস সাজিয়েছে। সেই ব্যাপার নিয়েই শুক্রবার চাঁচল থানায় যান বিজেপি সাংসদ। তিনি চাঁচল থানার আইসির সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু আইসিকে থানায় না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুক্রবার বিকাল থেকে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। রাত ৯টা নাগাদ পুলিশ থানার বাইরের লাইট অফ করে দেয় । এরপর সাংসদ মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। যা শনিবার খবর লেখা পর্যন্ত তিনি অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ।।