এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,২৩ আগস্ট : রাজধানী কাবুল দখলের পর এবার পাঞ্জশির উপত্যকার দিকে যেতে শুরু করেছে তালিবানরা । কিন্তু তাদের পড়তে হচ্ছে কঠিন প্রতিরোধের মুখে । বাগলান প্রদেশের আন্দরাবে অর্তকিত হামলার মুখে পড়তে হয় তালেবানদের । এই হামলার নুন্যতম ৩০০ তালিবানি জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর । তালিবানদের বিরুদ্ধে হামলায় নেতৃত্ব দেন আহমদ শাহ মাসুদ ও আমরুল্লা সালেহ ।
আফগানিস্তানের পাঞ্জশির এলাকার ‘শের’ বলে পরিচিত আহমদ শাহ মাসুদ । তাঁর ৩২ বর্ষীয় ছেলে আহমেদ মাসুদ ও আফগানিস্তানের কার্যানির্বাহী রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করা আমরুল্লা সালেহের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্জশির প্রদেশের সুরম্য উপত্যকা থেকে তালিবান বিরোধী আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন । ২০০১ সালে মারা যান আহমদ শাহ মাসুদ । তালিবান ও আল-কায়দা মিলে তাঁকে ষড়যন্ত্র করে খুন করে । সেই সময় মাসুদের ছেলে আহমেদ সিনিয়রের বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর । বাবার মৃত্যুর পর তাঁরই দেখানো রাস্তার চলতে শুরু করেন আহমেদ সিনিয়র । যার ফলে আফগানিস্তানের বাকি প্রদেশ তালিবানের দখলে চলে গেলেও কাবুল থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত পঞ্জশির এলাকা তারা দখল করতে সক্ষম হয়নি । তালিবানদের বিরুদ্ধে রীতিমত একটা বাহিনী গড়ে তুলেছেন আহমেদ মাসুদ ।
ছোট থেকেই আহমেদ মাসুদ তাঁর বাবাকে আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখেছেন । তিনি ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্ট নামে একটি জোট গঠন করেছিলেন মাসুদ । এই জোটটি Northern Alliance এর আদলে তৈরি করা হয়েছিল । যাতে মাসুদের বাবাও সামিল হয়েছিলেন ।
সম্প্রতি আহমেদ মাসুদ তালিবানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলে প্রচার হয়েছিল । যদিও তিনি সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন । মাসুদ বলেন, ‘আমি আমার বাবার দেখানো রাস্তাতেই চলবো । তালিবানের কাছে কখনই আত্মসমর্পণ করব না ।’ পাশাপাশি তিনি তালিবানের উদ্দেশ্যে হুংকার দিয়ে বলেন, ‘প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে ।’ এই লড়াইয়ে ফ্রান্স,ইউরোপ, আমেরিকা ও আরব দেশগুলিরও সাহায্য চেয়েছেন মাসুদ । তিনি বলেন, ‘২০ বছর আগে এই দেশগুলি ইউএসএসআর ও তারপর তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য করেছিল ।’।